 
                                    
            টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। মিলিনিয়াম কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছেন। মিলিনিয়াম কনস্ট্রাকশনের কর্ণধার সোহেল হাসান ও আব্দুল কাদের মুন্না অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ মে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দার রেলিং ভেঙে পুনরায় কাজ করতে গেল স্থানীয় রিফাত নামের এক যুবক চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা হুমকি ধামকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বারান্দা অরক্ষিত হয়ে পড়ে।
সোমবার ভোরে খোরশেদ আলম নামের এক রোগী নামাজের থেকে ফেরার সময় বারান্দার রেলিংয়ের কাছে হাঁটতে গিয়ে পা ফসকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মারা যাওয়া রোগের নাম মো. খোরশেদ আলম (৮২)। তার বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলা ছানবাড়িয়া তিনি শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগ নিয়ে গত ৮ জুন বিকালে মির্জাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উল্লেখ্য ঠিকাদার লোক আবু হানিফ অভিযোগ করে বলেন,চাঁদা বা কাজের অর্ধেক শেয়ার না দিলে রিফাত তাদের কাজ করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডাঃফরিদুল ইসলাম কে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তিনি কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রিফাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও তাঁর বাড়িতে খোজ করার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরো জানা যায় অভিযুক্ত রিফাত সরকার দলীয় নেতা বলে এলাকার বিভিন্ন চাঁদাবাজি সহ অসংখ্য অসামাজিক কার্যকলার সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনচার্জ ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকা ট্রেনিংয়ে ছিলাম,আমি ঠিকাদারকে আশ্বস্ত করেছিলাম হাসপাতালে ভেতরে যদি কোন সমস্যা হয় সেটা আমি দেখব। এই আশ্বাস দেওয়ার পরও ঠিকাদারের লোক কাজে আসেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ইনচার্জ ডা. ফরিদুল ইসলাম আরো বলেন এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।








































আপনার মতামত লিখুন :