Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
হুঁশিয়ারি ইইউ নেতাদের

ইউক্রেনের সীমানা বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না


দৈনিক পরিবার | আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম ইউক্রেনের সীমানা বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না

ইউক্রেনের সীমানা বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না— এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আলাস্কায় ইউক্রেন ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের তিন দিন আগে এই বার্তা এসেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এক যৌথ বিবৃতিতে ইইউ নেতারা বলেন, ইউক্রেনের জনগণকে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের স্বাধীনতা দিতে হবে। 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সীমানা বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না এবং ভূখণ্ডের অখণ্ডতার নীতি অবশ্যই মানতে হবে।
বিবিসি বলছে, ২৭টি ইইউ সদস্য দেশের মধ্যে ২৬ জন নেতা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করলেও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এতে সই করেননি। রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা অরবান বারবার ইউক্রেনের প্রতি ইইউয়ের সহায়তা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিবৃতিতে ইউক্রেন নিয়ে মস্কোর কর্মকাণ্ডে ইউরোপের উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলো এবং সোভিয়েত দখলের স্মৃতি এখনো যেসব দেশে তাজা, তারা সম্ভাব্য হুমকিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে, বাল্টিক দেশগুলো বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা ফিরিয়ে এনেছে, আর পোল্যান্ড রাশিয়ার সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
ইউরোপীয় ইতিহাসে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে সীমান্ত পরিবর্তনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে। তাই ইউক্রেনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু মেনে নিতে পারে— এই আশঙ্কা ইইউয়ের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাশিয়া যেসব এলাকা বলপ্রয়োগে দখল করেছে, সেগুলোর ওপর তার সার্বভৌমত্ব আইনি স্বীকৃতি দেওয়া ইইউয়ের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
ট্রাম্প বলেছেন, যেকোনো শান্তিচুক্তিতে “কিছু ভূখণ্ড বিনিময়” থাকতে পারে। এতে রাশিয়া পুরো ডনবাস অঞ্চল (লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক) এবং ক্রিমিয়া ধরে রাখবে, আর এর বিনিময়ে আংশিক দখলকৃত খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চল ছাড়বে।
কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই ডনবাস ছাড়বে না। কিয়েভ এখনো ওই অঞ্চলের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে এবং তার দাবি— ইউক্রেনীয় সেনারা সরে গেলে রাশিয়া সেখান থেকে ভবিষ্যতে নতুন হামলার সুযোগ পাবে।
গত সপ্তাহে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে স্বীকার করেছেন, ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড বাস্তবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে, তবে এর কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়। কারণ এমন স্বীকৃতির জন্য ইউক্রেনের সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, যা সংসদীয় অনুমোদন ও গণভোট ছাড়া সম্ভব নয়।

Side banner