সুস্থ ও সুন্দর চুল কেবল আপনার বংশগতি এবং যত্নের ওপর নির্ভর করে না, বরং খাদ্যাভ্যাসও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের প্রতিদিনের খাবার চুলের দৃঢ়তা, উজ্জ্বলতা এবং বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার সঠিক পুষ্টিতে ভরপুর থাকে যা চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করতে, বৃদ্ধিকে বাড়াতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। যদি চুল লম্বা ও ঘন করতে চান তবে এই খাবারগুলো নিয়মত খেতে হবে-
ডিম
চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিম হলো সেরা খাবারের মধ্যে একটি। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ, চুলের ফলিকল বেশিরভাগ প্রোটিন দিয়ে তৈরি। প্রোটিনের ঘাটতি চুল পাতলা করতে পারে এমনকী চুল পড়ার কারণও হতে পারে। ডিমে বায়োটিনও থাকে। এটি বি-ভিটামিন যা কেরাটিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা চুল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। বায়োটিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়া বেড়ে যায়। ডিমের মতো বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে চুল শক্তিশালী এবং সুস্থ থাকে। এছাড়াও ডিম জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং অন্যান্য চুল-স্বাস্থ্যকর পুষ্টি সরবরাহ করে। যা চুলের জন্য অপরিহার্য।
পালং শাক
পালং শাক চুলের জন্য উপকারী পুষ্টিতে ভরপুর। যার মধ্যে রয়েছে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এই পুষ্টিগুলো মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের শেকড়কে শক্তিশালী করে। আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণের একটি, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। পালং শাক নন-হিম আয়রন সরবরাহ করে, যা লোহিত রক্তকণিকাকে মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে, পুষ্টি বজায় রাখে এবং চুলের বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, পালং শাকে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরকে ভালোভাবে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।
চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। যা চুলে পুষ্টি জোগায়, চুলের গ্রন্থিকোষের চারপাশে প্রদাহ কমায় এবং চুল লম্বা করে। এই স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলো স্ক্যাল্পও সুস্থ রাখে। যার ফলে সুস্থ, ঘন ও ঝলমলে চুল পাওয়া সহজ হয়। ওমেগা-৩ ছাড়াও, চর্বিযুক্ত মাছ ভিটামিন ডি, প্রোটিন, বি ভিটামিন এবং সেলেনিয়ামের একটি ভালো উৎস। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান, তাদের চুল পাতলা হওয়ার হার কমে যায় এবং ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
আপনার মতামত লিখুন :