ইসলামাবাদে বোমা হামলার ঘটনায় রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ওয়ানডের পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়েছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলেও সিরিজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশনায় থেকে যেতে হয়েছে ক্রিকেটারদের এবং সিরিজ শেষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা পেতে হলো লঙ্কানদের।
এখনো পাকিস্তানে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা দলকে। ১৮ নভেম্বর থেকে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা, যেখানে আরেক দল জিম্বাবুয়ে।
রাওয়ালপিন্ডিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ২১১ রানে অলআউট হয়। ওপেনিং জুটি ছিল ৫৫ রানের। তবে মোহাম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে হারিস রউফ ও ফয়সাল আকরামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
সবচেয়ে বেশি ৪৮ রান করে সাদিরা সামারাবিক্রমা। পরের দুটি সর্বোচ্চ ইনিংস ত্রিশ ছাড়ানো। অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ৩৪ ও পাভান রত্নায়েকে ৩২ রান করেন। ওয়াসিম ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। দুটি করে পান হারিস ও ফয়সাল। লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ ওভারে ওপেনার হাসিবুল্লাহ খানকে হারায় পাকিস্তান। তারপর দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামান ও বাবর আজম ৭৪ রানের জুটিতে দল ঘুরে দাঁড়ায়।
ফখর ৪৫ বলে ৫৫ রান করে আউট হলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর একে একে বাবর ও সালমান আগা দ্রুত ফিরে গেলে মোহাম্মদ রিজওয়ান হাল ধরেন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি খরা কাটানো বাবর ৫২ বলে ৩৪ রান করেন।
রিজওয়ান ও হুসেইন তালাত ১২২ বলে ১০০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জেতান। ৯২ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। তালাত ৫৭ বলে ৪২ রানে খেলছিলেন।
৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দাপুটে জয়ে ৩-০ তে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান। ৪ উইকেটে তারা করে ২১৫ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে তিনটি উইকেট নেন জেফ্রি ভ্যান্ডারসে।








































আপনার মতামত লিখুন :