Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনা ভাবনায় এক নির্ভীক স্বপ্নচাষীর কিছু স্বপ্নচারণ


দৈনিক পরিবার | জাহাঙ্গীর সরকার অক্টোবর ২০, ২০২৩, ১০:৫০ এএম পাবনা ভাবনায় এক নির্ভীক স্বপ্নচাষীর কিছু স্বপ্নচারণ

একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সার্বিক উন্নয়ন বলতে সাধারণত সুপরিকল্পিতভাবে বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট ভৌগলিক পরিসীমার অন্তর্ভুক্ত কোনো জনপদের অধিবাসীদের জীবনযাপনের মান উন্নয়নের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াকেই বোঝায়। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে এই ভাবনায় বহুবিধ উপাত্ত সংযুক্ত হয়ে এসেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উপযুক্ত সময় এসেছে সার্বিক উন্নয়নভাবনায় একটি আবশ্যক সংযুক্তিকে উপলব্ধ করে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও প্রসারিত করার। মানুষ তার লব্ধ জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রজ্ঞার ব্যবহার করে জীবনের চরম গন্তব্যের দিকে ছুটে চলে। এটাই আমাদের জীবনের চলার পথ পরিক্রমার অনন্ত প্রচেষ্টা। ব্যতিক্রম হলো সৃষ্টিশীল মানুষের স্বপ্ন চাষ। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জনাব এ.পি.জে আবদুল কালামের কথায়- "স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।" কখনো কখনো কিছু স্বপ্ন জীবনের সীমারেখা অতিক্রম করে যখন কাঙ্খিত স্বপ্নের ঠিকানা খোঁজে, তখন তার সামনে জীবনের পরিসীমাকেও নগণ্য মনে হয়। অবশ্য সৃষ্টিকর্তা এক্ষেত্রে খুব কম মানুষকেই সেই পরম স্বপ্নের সৌন্দর্য, রুপ-রস-গন্ধ আস্বাদনের সুযোগ দান করেন। সেই দিক থেকে আজ আমরা নিজেদের অনেক সৌভাগ্যবান মনে করতে পারি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমরা এমন একটি সংগঠনের সদস্য হিসেবে নিজেদের সংযুক্ত করার সুযোগ পেয়েছি, যার মাধ্যমে আমাদের আজকের এই অঙ্কুরিত চারাগাছটি একদিন মহীরুহ হয়ে উঠবে বলেই আমার সুদৃঢ় বিশ্বাস।
হ্যাঁ আমি পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের কথা বলছি, যাকে ঘিরে আমার এই স্বপ্নচাষ। জেলার প্রথিতযশা প্রায় সকল শ্রেণীপেশার অত্যন্ত জ্ঞানীগুণী এবং উদারমনা মেধাবী মানুষগুলো একত্রিত হয়েছেন এই সংস্থায়। কোনো কাজই আমাদের কাছে অসম্ভব বলে মনে হবার কারণ নেই। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী, সামরিক-বেসামরিক প্রায় সকল শাখার দক্ষ ও মেধাবী পরিকল্পনাবিদগণের সমন্বয়ে পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন একটি মেধাভিত্তিক শক্তিশালী ও সৃষ্টিশীল সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সদস্যদের উদারনৈতিক ও সমমনা মানসিকতার কারণে যে কোনো সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায়, এমনকি- উন্নয়ন কার্যক্রমেও তাদের প্রদত্ত অনুদানের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ আমাদেরকে একদিকে যেমন সমালোচনার উর্ধ্বে রেখেছে, অন্যদিকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রমগুলো কাঙ্খিত সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছি। এটাই আমাদের প্রাণশক্তি।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা পাবনাবাসীরা ঋণী হয়ে আছি, কারণ এত বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে তিনিই পাবনার সূর্যসন্তান জনাব মো. সাহাবুদ্দিন চুপপু মহোদয়কে দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে এক অনন্য সন্মানের স্থানে অভিষিক্ত করেছেন। দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মত তিনি পাবনাকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাবনা নগরবাড়ি রেলপথ, পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল কলেজ, পাবনা মেডিক্যাল কলেজসহ  সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার জন্য তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা সীমাহীন।তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত তৃণমূল পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিরলস প্রচেষ্টার এই ধারাবাহিকতায় পাবনা জেলার প্রতিটি অঞ্চলের আরোও উন্নয়ন হবে বলে আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু, উন্নয়ন শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়, এতে সকল নাগরিকেরই নিজস্ব ভূমিকা ও কর্তব্য রয়েছে। আবার শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই যথেষ্ট নয়, এর সাথে মননের বিকাশও প্রয়োজন। কারন, উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোগত হলে তা সম্পূর্ণ হয়না, জনগণের মনমানসিকতারও ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি, জাতির প্রতি, দেশের প্রতি ভালবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করাও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অন্যতম একটি অংশ। বিগত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকার প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বিপুল উন্নয়ন করেছেন। আজ আমরা নিজেদের সক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল হতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙালি সারা পৃথিবীতে গৌরবের সাথে মাথাউঁচু করে দাঁড়াবে। জননেত্রী  শেখ হাসিনা আমাদের সেই গৌরবের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। এখনও আরো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। সে জন্যই চাই উন্নত মনের মানুষ গড়া, যাঁরা প্রত্যেকে হবে জন্মভূমি ও শেঁকড়ের মাটির প্রতি দায়িত্বশীল।
ঐতিহ্যবাহী চলনবিল, পদ্মা, যমুনা, ইছামতি, বড়াল, চিকনাই, ফুলজোর, হুরাসাগর নদীবিধৌত, উর্বর কৃষিভিত্তিক সবুজ শ্যামলীমা, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অবারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদেরকে পাবনাবাসী হিসেবে বিশেষায়িত করে। প্রাচীনকাল থেকেই শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, নাট্যকলা, সঙ্গীত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব একটি ঐতিহ্য আছে। বায়ান্নর ভাষাআন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬’র ৬ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে আমাদের অনন্য সাধারণ ভূমিকা। দেশের ইতিহাসের প্রতিটি পর্বেই আমাদের এই পাবনা জেলার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। সেই মর্যাদার কথা মাথায় রেখে নিজেদের দ্বায়িত্বশীলতাকে আরও প্রসারিত করার সময় এসেছে এখন। শুধুমাত্র সরকারী ব্যবস্থাপনার মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আদর্শে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একতাবদ্ধ হয়ে আমরা যদি আমাদের এই পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিকল্পিত কর্মসূচী বাস্তবায়িত করে যেতে পারি, তবে সুনিশ্চিতভাবে আমরা দেশের জেলায় জেলায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আদর্শ রূপে গৃহীত হবো।
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে পাবনা জেলার মানুষের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র সরকারী ব্যবস্থাপনার মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে আমরা নিজেদের কিছু কর্মসূচী বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি। তার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে কিছু বৃহৎ প্রকল্প, যেগুলো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার সাথে সাথে নিজেদের সমন্বিত উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবে আমরা দেশের সকল জেলার কাছেই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবো, যেমন-
১. পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে 'আধুনিক স্বাস্থ্য ও মনঃসেবা' নিশ্চিত করা।
২. কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণে পূর্ণাঙ্গ একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা।
৩. স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশেষায়িত আইটি পার্ক স্থাপন করা।
৪. বিশ্বব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে অন্তত একটি করে ইংলিশ ভার্সন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা।
৫. পাবনা জেলার সকল উপজেলার সাথে যোগাযোগ উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ প্রত্যেকটি নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে আধুনিক নৌযান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং নদী পাড়ে হাঁটাচলার রাস্তা নির্মাণসহ সৌন্দর্য্য বর্ধন করা। ইছামতি নদী খনন ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের মাধ্যমে পাবনা শহরকে একটি দৃষ্টিনন্দন নগরীতে রূপ দেয়া।
৬. প্রত্যেক উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমী গড়ে তুলে সাংস্কৃতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক মননে গড়ে তোলার সুব্যবস্থা করা।
৭. প্রত্যেকটি উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক শিশুপার্ক গড়ে তোলা। আধুনিক বিনোদনের জন্য নভোথিয়েটারের ব্যবস্থা করা। সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়ন করা এবং ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স তৈরি করা।
৮. কৃষিজাত পণ্যের সংরক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আধুনিক হিমাগার পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা।
৯. দরিদ্র শিশুদের শতভাগ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করা। প্রত্যেক উপজেলায় ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য জেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি পার্টনারশীপের মাধ্যমে বিশেষায়িত রেসিডেন্সিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা।
১০. দুস্থ সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পসাহিত্য অঙ্গনের মানুষদের অবদানকে স্বীকৃতির মাধ্যমে সামাজিকভাবে তাঁদের সম্মান বৃদ্ধি করা সহ বিশেষ সম্মানী/ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
১১. প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সমাজের খুঁটিনাটি অসঙ্গতি দূরীকরণ এবং পাবনা জেলাকে দ্রুত মাদকমুক্তকরণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাওয়া।
১২. মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ইতিবাচক পরিবর্তনে গ্রাম পর্যায়েই পাঠাগার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ভ্রাম্যমান পাঠাগার কার্যক্রম চালু করা এবং খেলাধুলার পরিবেশকে আধুনিক করতে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা।
১৩. উপজেলাভিত্তিক ভিক্ষুক, পথশিশু ও বাস্তুহারা বৃদ্ধ মানুষদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মান করা। উপযুক্ত পরিচালনার মাধ্যমে শিশুদের মাঝে শিক্ষা ও অন্যান্যদের জন্য কর্মসংযুক্তির ব্যবস্থা করে ভিক্ষুকমুক্ত মানবিক পাবনা জেলা গড়ে তোলা।
১৪. বিশ্বমানের মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলা।
১৫. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা ।
১৬. আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা।
১৭. ঈশ্বরদী বিমানবন্দরকে পুনরায় সচল করা।
১৮. পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া এবং সংরক্ষিত ময়লা আবর্জনাকে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে সার কিংবা গ্যাস উৎপাদনপূর্বক স্বল্পমূল্যে দরিদ্র কৃষক পরিবারে ব্যবহার করার সুযোগ দান করা।
১৯. বাল্যবিবাহ ও যৌতুকপ্রথা কঠোরভাবে রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং মানবিক সকল কার্যক্রমে অবদান রাখার আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
২০. সকল ধর্মবর্ণের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর সংস্কৃতি গড়ে তোলা। প্রত্যেক ধর্মের মানুষদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোকে সামাজিক মিলনমেলায় পরিণত করার মনন সৃষ্টি করা এবং শতভাগ অসাম্প্রদায়িক জেলা হিসেবে পাবনা জেলাকে দ্রুত মডেল জেলায় পরিণত করা।
২১. উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ইনডোর স্টেডিয়াম ও ব্যায়ামাগারের ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
সারকথা এই যে- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিকশিত করে এবং আদি নিদর্শন ও ঐতিহ্যকে সুরক্ষিত রেখে নদীমাতৃক পূর্ণাঙ্গ ‘সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র‘ হিসেবে গড়ে তুলে পাবনা জেলাকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোল মডেল হিসেবে সুপরিচিত ও সমাদৃত করানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সকল সদস্য যার যার নিজস্ব ক্ষেত্র থেকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে এলে, আমার বিশ্বাস আমরা কাঙ্খিত স্বপ্নের সিংহভাগ পূরণ করতে সক্ষম হবো। মানুষ তার কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকে। আমাদের সফলতা অদূর ভবিষ্যতে দেশের সকল জেলার মানুষদের স্বপ্ন দেখাবে, সুসংহত করবে বলেই আমার বিশ্বাস। একদিন এই স্বপ্নের পথ ধরে দেশের প্রতিটি জেলার মানুষ নিজ নিজ স্বপ্নের বাস্তবায়নে তাদের জেলাকে সমৃদ্ধির শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে এ মডেল অনুসরণ করবে ।তৈরী হবে একটি অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনষ্ক, উন্নত মননশীল ও মানসিক দূষণমুক্ত নতুন প্রজন্ম, যাদের হাত ধরে আমাদের এই মাতৃভূমি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা একদিন পৃথিবীর বুকে আদর্শগতভাবে প্রকৃত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
লেখকঃ পুলিশ সুপার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

 

Side banner