কুমিল্লার হোমনায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কটূক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মাজার ভেঙে বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার আছাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের মাজার প্রাঙ্গণে আগুন ধরিয়ে দেয়, ফলে পুরো মাজার এলাকা জ্বলতে থাকে। একইসঙ্গে কটূক্তিকারীর বসতঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
খবর পেয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন, যৌথ বাহিনী ও থানা পুলিশ সহ অন্যান্য বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ ছাড়া হোমনা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কটূক্তিকারীর আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতঘর সহ অন্যান্য রক্ষার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহসিন তার “বেমজা মহসিন” নামের ফেসবুক আইডি থেকে বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে নবীজি (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর পোস্ট দেন। এর জেরে তৌহিদ জনতারা মাজার ভাঙচুর ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কটূক্তিকারী মহসিন সে কফিলউদ্দিন শাহের নাতি ও আলেক শাহের ছেলে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, কটুক্তকারীকে দ্রুত আমরা গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে প্রেরণ করি এবং আমরা তার রিমান্ড চেয়েছি, রিমান্ড মনজুর করেছে। আজকে যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব এবং পিছনে যারা ইন্দোনদাতা তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনা নজরে আসার পর সেনাবাহিনী পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল।
এ দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ তৌহিদ জনতা ওই এলাকায় আবদুস শাহ মাজার, নোয়াগাঁও কালু শাজ মাজার, হাওয়ালী মাজার ও হাসান শাহ মাজারে হামলা করে।
আপনার মতামত লিখুন :