যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতের নাম মাসুরা খাতুন (৩৫)। অভিযুক্ত স্বামী জাহিদুল ইসলাম (৪২) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
নিহতের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রায় আট-নয় বছর আগে জাহিদুলের সঙ্গে মাসুরার বিয়ে হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের সংসারে সাত ও তিন বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জাহিদুল মাদকসেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় মাসুরাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাসুরা একসময় তালাকও দিয়েছিল। তবে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় তিন মাস আগে পুনরায় সংসারে ফিরিয়ে আনে জাহিদুল।
তিনি আরও বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলেও জাহিদুল আমার বোনকে মারধর করে। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ফোন দিয়ে জানায়, মাসুরা গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। সকালে গিয়ে দেখি লাশ খাটের উপর হাঁটু মুড়ে বসা অবস্থায় ঘরের বাঁশের আড়ায় ঝুলছে। স্পষ্ট বোঝা যায়, তাকে হত্যার পর এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাসুরার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, লাশের অবস্থান দেখে প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাহিদুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং এলাকায় তাকে ‘এলকো চেয়ারম্যান’ নামে ডাকা হয়। তারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে নিহত মাসুরার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :