ডায়াবেটিস হোক বা রক্তাল্পতা, স্বাস্থ্য সচেতনতায় এখন অনেকেই খাওয়ার তালিকায় রাখছেন ডার্ক চকোলেট কিংবা খেজুর। তবে প্রশ্ন হলো, এই দুটির মধ্যে কোনটি কাদের জন্য বেশি উপকারী? চলুন, জেনে নিই পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার দিক থেকে কোনটি এগিয়ে।
চিনির পরিমাণের দিক থেকে কে এগিয়ে?
ডার্ক চকোলেটে কোকোর পরিমাণ বেশি (৭০-৮০%) এবং চিনির পরিমাণ খুবই কম। এজন্য এটি হার্টের জন্য ভালো এবং ডায়াবেটিক রোগীরাও পরিমিত পরিমাণে এটি খেতে পারেন। তবে সব ব্র্যান্ডের ডার্ক চকোলেট একরকম নয়, তাই কেনার সময় লেবেল দেখে নিতে হবে। অন্যদিকে, খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৬৮.৮ গ্রাম চিনি থাকে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিকদের জন্য খেজুর খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে যাদের ডায়াবেটিস নেই, তারা দিনে ২-৩টি খেজুর খেতে পারেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে কার দৌড় বেশি?
ডার্ক চকোলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি দেহে প্রদাহ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। মানসিক চাপ কমাতেও এটি কার্যকর। খেজুরেও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬। যা হৃদযন্ত্র ও স্নায়ু স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দিক দিয়ে ডার্ক চকোলেট কিছুটা এগিয়ে।
ফাইবার ও হজমে উপকারিতা
খেজুরে ফাইবারের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। মাত্র দুটি মাঝারি আকারের খেজুরে প্রায় ৬.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের সমস্যা কমাতে এটি বেশ কার্যকর। ডার্ক চকোলেটেও ফাইবার রয়েছে, তবে এতে পলিফেনল বেশি। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাই ডায়েট মেনে চলা মানুষদের জন্য ডার্ক চকোলেট উপকারী।
অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
ডার্ক চকোলেট: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং চকলেট খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
খেজুর: হজম ভালো করে, শরীরে শক্তি জোগায় এবং ভাইরাল বা ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফুসফুসের সমস্যায়ও এটি উপকারী। দুইটিই পুষ্টিকর, তবে কাদের জন্য কোনটি বেশি উপকারী তা নির্ভর করছে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর:
পরিমিত খেলে দুইটিই উপকারে আসবে, তবে নিজের শারীরিক চাহিদা ও সমস্যা অনুযায়ী বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :