গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিকে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল ঘিরে সাঁজোয়া যানসহ বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সড়কে তারা আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টেকেরহাট-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর, উলপুর, ও কংশুরসহ গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের মাঝিগাতি, কাঠি ও কোটালীপাড়ায় তারা সড়কে আগুন ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। এ সময় গান্ধীয়াশুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা।
এদিকে সকাল থেকে বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশ ও ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ ও ইউএনওর চাড়ি চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও এম রাকিবুল হাসান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রার কথা রয়েছে তাদের। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকরা সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর এলাকায় টেকের হাট-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমার (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর করে তারা।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের টহলরত গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে তারা। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় কোনো অপ্রতিকার ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি ঘিরে ব্যপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান সহ অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :