Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে: ইনু


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ২১, ২০২২, ০৮:৫৭ পিএম সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে: ইনু

মৃত্যুঞ্জয়ী সেক্টর কমান্ডার, সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের মহানায়ক, জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা, মহান বিপ্লবী শহীদ আবু তাহের বীরউত্তমকে জিয়ার সামরিক আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসণমূলক বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা উপজেলায় জাসদের তাহের দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল ১১টায় শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মা-লে) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সাবেক অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকার পক্ষের কৌশলীদের অন্যতম প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট এম কে রহমান; জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাসদের কার্যকরী সভাপতি এ্যাডভোকেট রবিউল আলম; জাসদের সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতার, জাসদের সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জাসদের যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল আখতার, জাসদের সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোহসীন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদ ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মোঃ নুরুন্নবী, জাসদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুহিবুর রহমান মিহির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ননী-মাসুদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।
সভাপতির ভাষণে হাসানুল হক ইনু এমপি শহীদ কর্নেল তাহের বীরউত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী। জনাব ইনু বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে পাকিস্তান যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই পাকিস্তান যাত্রা থেকে বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথে রাখার জন্যই ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থান সংঘঠিত হয়েছিল। জেনারেল জিয়া সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তান যাত্রা অব্যাহত রাখে এবং জিয়া পাকিস্তানের প্রক্সি যোদ্ধা হিসাবে কাজ শুরু করে। হাসানুল হক ইনু বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো বিএনপি-জামাত-রাজনৈতিক মোল্লারা পাকিস্তানের পক্ষে প্রক্সি যোদ্ধা হিসাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের চিরশত্রু পাকিস্তানের এই প্রক্সি যোদ্ধারা নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে যতই নাকিকান্না কাদুকনা কেন তাদের আসল এজেন্ডা দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অসাংবিধানিক সরকার আনা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করা। জনাব ইনু শহীদ কর্নেল তাহেরের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের চির শত্রু পাকিস্তানের পক্ষে প্রক্সি যোদ্ধাদের পরাজিত করে শোষণ-বৈষম্য-দুর্নীতির অবসান করে বাংলাদেশকে সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কমরেড দিলীপ বড়ুয়া শহীদ কর্নেল তাহেরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিপ্লবী চেতনাকে হত্যা করা যায় না। এ বাংলাদেশেই অসংখ্য কর্নেল তাহেরের জন্ম হবে। তিনি বলেন, নানা বর্ণের লুটেরারা বাংলাদেশকে খুবলে খাচ্ছে। এদের প্রতিহত করে বাংলাদেশকে সঠিক পথে রাখতে হবে। তিনি বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের ক্ষমতায় গিয়ে হাওয়া ভবন তৈরি করা ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নাই।
কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জিয়ার সামরিক শাসন আমলে কর্নেল তাহের সহ প্রহসনমূলক বিচারে শতশত সিপাহী এবং অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি জিয়ার আমলে সেনা অভ্যন্তরে সংঘঠিত সকল হত্যা এবং গুমের ঘটনার স্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।
এ্যাডভোকেট এম কে রহমান বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের সংবিধান সামরিক শাসনের পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ৫ম সংশোধনী বাতিলের ফলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, কর্নেল তাহের হত্যার বিচারের পথে বাঁধা সমূহ অপসারিত হয়।

 

Side banner