Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কাহালু উপজেলার ঐতিহাসিক স্থান পাঁচপীর মাজার


দৈনিক পরিবার | মো. সুমন প্রাং মে ৩০, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম কাহালু উপজেলার ঐতিহাসিক স্থান পাঁচপীর মাজার

পাঁচপীর মাজার কাহালু উপজেলার ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত। পাঁচ জন পীর বা অলি একই স্থানে শায়িত আছেন বলে স্থানটির নামকরণ হয়েছে ‘‘পাঁচপীর’’। মাজারটি উঁচু একটি ঢিবির উপর অবস্থিত। তবে সম্রাট আকবরের শাসনকালে থেকে স্থানটি ‘‘পাঁচপীর মাজার’’ নাম ধারণ করে আসছে বলে জনশ্রুতিতে জানা যায়।
১৯৫২ সালে মাজার এলাকা সমতল করার সময় ইট দ্বারা বাধানো ৫টি কবর আবিস্কৃত হয়। ঐ এলাকার এক ব্যক্তি মাজার এলাকা সমতল করার দিনগত রাতে স্বপ্নে উক্ত স্থানে ৫জন পীরের মাজার দেখতে পান বলে এলাকাবাসী নিকট থেকে জানা যায়।
ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৩৩৪ খৃষ্টাব্দে আব্দুল আজিজ (রহঃ) নামের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্বে ইসলাম প্রচারে জন্য ৭ সদস্যের একটি দল প্রথমে এদেশে আগমন করেন। পরবর্তীতে নুর উদ্দীন ইয়ামিন (রহঃ) এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এ উপজেলায় প্রেরণ করা হয়। তারা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং এখান থেকে সর্বপ্রথম ইসলাম প্রচার কার্যক্রম শুরু করেন। তারা এখানেই ইন্তেকাল করে বলে জনশ্রুতিতে জানা যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় যে, ১৩০০ খৃষ্টাব্দে সুদূর বাগদাদ (ইরাক) থেকে পাঁচ জন পীরের প্রধান পীরজাদা মো. আহমদল্লাহ (রহঃ) প্রথমে মাজারের ১ কিঃমিঃ পশ্চিমে ফকিরপাড়া গ্রামের পাশে দরগাতলা নামক স্থানে একটি পাকুড় গাছের মাথায় লাল ঝান্ডা (পতাকা) দিয়ে তার নীচে আস্তানা গড়েন। কিছুদিন পর তার অপর চার সঙ্গী ঝান্ডা দেখে সেখানে সমবেত হয়ে সম্মিলিতভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
তৎকালীন ঐ এলাকার প্রতাপশালী এক জমিদার ইসলাম প্রচারে বাধা দিলে পীরগণ এলাকার মুসলমানদের সহযোগিতায় জমিদারকে বিতাড়িত করে মাজার এলাকায় তার কাচারী বাড়ী দখল করে সেখান থেকে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
পরবর্তীকালে পীরগণ ইন্তেকাল করলে এলাকার ভক্তগণ পর্যায়ক্রমে তাদের পাঁচপীর মাজার নামক স্থানে কবরস্থ করা হয় বলে এ নামকরণ হয়েছে ‘‘পাঁচপীর মাজার’’। তবে পীরগণের নাম ও তাদের আগমন সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।

Side banner