তরুণ নারীদের ক্ষমতায়ন ও প্রতিবন্ধী যুবদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক এক আলোচনা সভা বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা শহরের দেশি ভোজের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। আরএইচস্টেপ ও ইওয়াইড়ি প্রকল্প, গাইবান্ধা কেন্দ্র এই সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ খলিলুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আরএইচস্টেপ গাইবান্ধা কেন্দ্রের ইউনিট প্রধান মোঃ এনামুল হক। প্রকল্পের কার্যক্রম এবং প্রোগ্রামের বিষয়বস্ত নিয়ে আলোচনা করেন ইয়ুথ অফিসার মোছাঃ আসফিয়া খাতুন এবং জেন্ডার বিষয়ে ধারনা প্রদান করেন ইয়ুথ আফিসার মোঃ তাজবিউল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজকর্মী, আব্দুল ওয়াদুদ, রিক্তা খাতুন, অনু খাতুন প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আলোচনা করেন রিয়া মনি, রঞ্জন দেবনাথ, জোহা প্রমুখ। আলোচনায় আলোচকদের মধ্য থেকে চ্যামেলি রাণি, মুনমুন খাতুন তুলে ধরেন তরুণ নারীদের ক্ষমতায়ন ও প্রতিবন্ধী নারীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে। তারা বলেন, নারীরা সমাজে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের স্বীকার হয়, এ জন্য দরকার বর্তমান তরুণ নারীদের ক্ষমতায়ন। তারা আরও বলেন প্রতিবন্ধী যুবদের স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার উচিত প্রতিটি ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের।
আলোচনায় প্রধান অতিথি নারী-পুরুষের সমতা ও সাম্যতার বিষয়, শিক্ষার্থীদের বিপথে যাওয়া এবং সমাজের অবহেলা, সমাজের নৈতিকতার ক্ষয়, নারীদের সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা, তাদের কর্মসংস্থান, সমাজে পিছিয়ে পড়া ও প্রতিবন্ধী যুবদের সুযোগ করে দেওয়া প্রভূত বিষয়ে তুলে ধরেন। সমাজকর্মী আব্দুল ওয়াদুদ সমাজের পিছিয়ে পড়া ও প্রতিবন্ধী যুবদের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক এলাকাগুলোতে বেশি বেশি করে কাজ করার আহ্বান জানান। রিক্তা খাতুন তরুণ নারীদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন এভাবেই জেনে নারীর ক্ষমতায় দ্রুত হবে।
শিক্ষার্থীদের আলোচনায় জোহা বলেন নারীরা আর্থিক এবং শিক্ষাগত দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব। রিয়া মনি বলেন, শিক্ষার্থীরা গ্রামে শহরের তুলনায় কম সুযোগ সুবিধা পায় যা নারী ক্ষমতায়নের বাধা। মুনমুন বলেন, তিনি নিজেই নারীদের কাজের সুযোগ দিলেও সমাজ তাকে তিরস্কার করে যা নারী ক্ষমতায়নের বড় বাধা।
আপনার মতামত লিখুন :