কুড়িগ্রামে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা, বহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে চরাঞ্চলের কৃষি জমি। এদিকে আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় বন্যা প্রবণ ৬ উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খুলেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি বাড়ায় দুধকুমার নদীর অববাহিকার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুধকুমার নদ পাড়ের বাসিন্দা ফরিদুল, জুলহাস ও চান মিয়া জানান, যে হারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুই এক দিনের মধ্যে সমস্ত চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে। উপজেলার চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের জন্য এ সময়টি চরম দুশ্চিন্তার। বন্যার পাশাপাশি নদী ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
নাগেশ্বরী উপজেলার চর বিষ্ণুপুর এলাকার শামসুল হক বলেন, পুরো চরে পানি ঢুকেছে। চরের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রোপা আমন ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় বন্যা প্রবণ জেলার ৬টি উপজেলা- ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, চিলমারী ও চর রাজীবপুরে কন্ট্রোল রুম খুলেছে জেলা প্রশাসন। এসব কন্ট্রোল রুম বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি ও মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. রাকিবুল হাসান বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :