সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা ৭নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফতেহপুর গ্রামের ইসকন্দর আলীর মর্মান্তিক ভাবে হত্যার প্রতিবাদের ও স্থানীয় এবং প্রবাসীদের পক্ষ থেকে নরপশু এখলাছ মিয়াকে ফাঁসির দাবিতে এরুয়াখাই চকবাজারে এক বিশাল মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চক বাজারে এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় প্রবাসীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে নরপশু এখলাছ মিয়ার ফাঁসির দাবী জানান।
মানববন্ধনে পুত্র আব্দুস সোবহান কান্নায় ভেঙ্গে পরে পিতার ন্যায় বিচার কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির, আলিম উদ্দিন মাস্টার, মো. কামাল উদ্দিন, ফারুক আহমেদ, জামাল আহমদ, আহমদ আলী, নুর নবী, মোছব্বির আলী বাচ্ছু মিয়া, মনির হোসেন, আল আমিন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিত্ব।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঘাতক একলাছ মিয়া অযথা গ্রামবাসীর উপর বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কিছুদিন আগে তার আপন বোনের সংসার নষ্ট করে। সে আপন বোনের সাথে কুকর্মে লিপ্ত থাকায় এলাকাবাসী তাকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দিয়েছে। সে একজন নষ্ট মানুষ, নষ্ট লোক। টাকার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে। তার কাছে কোন ধর্মের তোয়াক্কা নেই। সে অনেক ধর্ম এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ করে আসছে তাই এলাকাবাসী একটাই দাবি তার যেন ফাঁসি কার্যকর হয়।
বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, এখলাস মিয়া অত্যন্ত খারাপ লোক। সে তার আপন চাচা মৃত ইস্কন্দর আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে তাকে অনেক বার জেল খাটিয়েছে এবং তার আপন ছোট বোনের সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত থাকায় অনেক সালিশ হয়েছে এবং তার বোনের জামাই তার বোনকে ডিভোর্স দিয়েছে ।
চকবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, একলাছ মিয়া একজন দুঃশ্চরিত্র প্রকৃতির মানুষ। এটা সমস্ত লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নবাসী জানে। সে আপন বোনের সংসার নষ্ট করে দিয়েছে। তার যৌন লালসার শিকার আপন বোন।
আপনার মতামত লিখুন :