Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭০


দৈনিক পরিবার | আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:৪২ পিএম সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭০

সুদানের দারফুরে শুক্রবার একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা। এল-ফাশের শহরে এই হামলার জন্য আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করা হচ্ছে, যদিও গোষ্ঠীটি কোনো দায় নেয়নি।
আরএসএফ ও সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। আধাসামরিক বাহিনী এখন এল-ফাশের দখলের চেষ্টা করছে এটি দারফুরে সেনাদের শেষ ঘাঁটি, যেখানে তিন লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ আটকে রয়েছে।
এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ড্রোনটি ফজরের নামাজ চলাকালে আঘাত হানে, মুহূর্তেই বহু মানুষ নিহত হয়।
চিকিৎসা সূত্রের হিসাবে ৭৮ জন মারা গেছে ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ তোলার কাজ চলছে। 
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মসজিদের পাশে প্রায় ৩০টি লাশ কাফনের কাপড় বা কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এই সপ্তাহে আরএসএফ আবারও এল-ফাশেরে বড় হামলা শুরু করেছে। খবর অনুযায়ী, শহরের কাছে আবু শৌক শরণার্থী শিবিরে তীব্র হামলাও হয়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক গবেষণা ল্যাবের বিশ্লেষণ বলছে, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে শিবিরের বড় অংশ আরএসএফ নিয়ন্ত্রণে।
ছবিতে আরো দেখা যাচ্ছে আরএসএফ যৌথ বাহিনীর সদর দপ্তরে প্রবেশ করেছে, যা আগে জাতিসংঘের কমপাউন্ড ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা-রেখা হিসেবে বিবেচিত। যদিও তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কিনা পরিষ্কার নয়। এই অগ্রগতি হলে এল-ফাশের বিমানবন্দর ও সেনাদলের সদর দপ্তর আরএসএফের সরাসরি হামলার আওতায় চলে আসবে।
মানবিক গবেষণা ল্যাব বলছে, সুদানি সেনাবাহিনী দ্রুত সহায়তা না পেলে এল-ফাশের আরএসএফের দখলে চলে যাবে। এতে পশ্চিম সুদানের ওপর আরএসএফের নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী হবে এবং কার্যত দেশটি ভাগ হয়ে যাবে।
বিশ্লেষক ও কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, শহরে থাকা সাধারণ মানুষদের—যাদের অনেকেই আরএসএফের চোখে শত্রু সম্প্রদায়ভুক্ত, তাদের নির্বিচারে টার্গেট করা হতে পারে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার বলা হয়েছে, সংঘাতটি ক্রমেই জাতিগত রূপ নিচ্ছে এবং দুই পক্ষই বিরোধী পক্ষকে সমর্থনের অভিযোগে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করছে। তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার নথি বলছে, আরএসএফ দখলকৃত এলাকায় অ-আরব জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল চালাচ্ছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানিয়েছে, আরএসএফ সৈন্যরা ‘অ-আরব সম্প্রদায়কে এল-ফাশের থেকে সরিয়ে দেওয়ার’ পরিকল্পনার কথা বলেছে। তবে আরএসএফ আগেও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে তারা কোনো ‘গোত্রীয় সংঘাতে’ জড়িত নয়।

Side banner