ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকাতায় খ্রিষ্টান কনফারেন্স অব এশিয়ার উদ্যোগে ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অ্যান্ড রিলিজিয়াস মাইনোরিটিজ ইন এশিয়া’ শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়া সরকারের ধর্মমন্ত্রী ড. নাসিরউদ্দীন ওমর।
বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় মহাথের, খ্রিষ্টান কমিউনিটির পক্ষে জন সাগর কর্মকার, হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য দেন আ্যডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক ও ব্রিটেন থেকে অতিথি হয়ে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া। এছাড়াও অনুষ্ঠানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তঃধর্মীয় নেতারা বক্তব্য দেন। আন্তঃধর্মীয় এ সম্মেলনটির সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর)।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি ইন্দোনেশিয়ার ধর্মমন্ত্রী ড. নাসিরউদ্দিন উমর বলেন, আমরা ইন্দোনেশিয়ায় সব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করেছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি এবং সবার অধিকার নিশ্চিত করতে ইন্দোনেশিয়ান জাতি অঙ্গীকার বদ্ধ। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সরকার ও নাগরিক সমাজকেও একই ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্মীয় সংগঠন ও নেতাদের দায়িত্ব এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বলে তিনি মত দেন।
ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজগঠন ও সহনশীল সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজের পক্ষ থেকে এশিয়ার অন্যান্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে এশিয়াজুড়ে শান্তির অন্বেষণে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া শান্তিপূর্ণ আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত করার নিরন্তর প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকার, সংসদ নাগরিক সমাজের সঙ্গে ধর্মীয় নেতাদের সার্বক্ষণিক ভূমিকা রাখতে হবে।
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক আ্যডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য সংসদে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনর্প্রবর্তনের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পক্ষে রেভারেন্ড জন সাগর কর্মকার এশিয়ার জাতিগুলোর প্রতি আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদানগুলো তুলে ধরেন।
আপনার মতামত লিখুন :