শেষ ওভারে দরকার ১২ রান—দুই দলের সামনে ছিল সমান সম্ভাবনা, সমান চ্যালেঞ্জ। বল হাতে এক অনভিজ্ঞ ২২ বছর বয়সী মার্কিন পেসার রুশিল উগারকর। যিনি এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেননি। অন্যদিকে, ব্যাট হাতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দুই বড় তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং গ্লেন ফিলিপস।
কিন্তু সবকিছুকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন উগারকর। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ছয় রান। এক ধীরগতির অফ কাটারে ফিরিয়ে দিলেন ভয়ংকর ম্যাক্সওয়েলকে। আর ফিলিপস পেলেন মাত্র একটি বল খেলতে। সেখানেই খেলা শেষ। ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে এমআই নিউ ইয়র্ক জিতে নেয় ২০২৫ মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) শিরোপা।
শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত ম্যাচের রাশ ছিল ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হাতেই। বিশেষ করে ফিলিপসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে।
১৭তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট মাত্র ৭ রান দিলেও পরের দুই ওভারে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ত্রিস্তান লুসকে দুটো ছয় মারেন ফিলিপস, ১৮তম ওভারে আসে ১৭ রান। এরপর বোল্টের ওভার থেকেও তুলেন আরেকটি ছয়সহ ১২ রান। তখন মনে হচ্ছিল, শিরোপা হয়তো যাচ্ছে ফ্রিডমের দখলে। কিন্তু উগারকর এলেন, দেখলেন, এবং জয় ছিনিয়ে নিলেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ওয়াশিংটন ফ্রিডমের শুরুতেই আঘাত হানেন বোল্ট। প্রথম ওভারেই তুলে নেন দুটি উইকেট। এরপর যদিও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রিডম। ৪১ বলে ৭০ রানের ইনিংসে হাঁকান ২টি ছয় ও ৮টি চার। তার সঙ্গে জ্যাক এডওয়ার্ডস করেন ২২ বলে ৩৩ রান। দুজনের জুটি ৪৫ বলে তোলে ৮৪ রান।
কিন্তু ম্যাক্সওয়েল আবারও ব্যর্থ—এই টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে ফ্লপ হওয়া এই তারকা এই ম্যাচেও দেখাতে পারেননি কার্যকর কিছু। গ্লেন ফিলিপস শেষদিকে লড়াই করলেও (৩৯ বলে ৪৮*) ম্যাচের মোড় উল্টে দিতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা এমআই নিউ ইয়র্ক ঝড়ো শুরু পায় কুইন্টন ডি কক ও মোনাঙ্ক প্যাটেলের ব্যাটে। ৪৪ বলে ৭২ রানের জুটিতে ভিত গড়ে দেন তারা। ডি কক শেষ পর্যন্ত ৭৭ রান করেন ৪৬ বলে, মারেন ৮ চার ও ৩ ছয়। প্যাটেল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে নিজের আধিপত্য বজায় রাখেন। শেষদিকে কুনওয়ারজিত সিং ১৩ বলে ২২ রান করে দলকে নিয়ে যায় চ্যালেঞ্জিং স্কোরে। ৭ উইকেটে তোলে ১৮০ রান।
আপনার মতামত লিখুন :