Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশের বিদায়

সুপার সিক্স পাকিস্তান যুবাদের


দৈনিক পরিবার | ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ১২:৩১ এএম সুপার সিক্স পাকিস্তান যুবাদের

পেসার রোহানাত দৌল্লা বর্ষন ও অফ-স্পিনার শেখ পারভেজ জীবনের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যের পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠা হলো না বাংলাদেশের যুবাদের। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সুপার সিক্সে গ্রুপ-১এ নিজেদের শেষ ম্যাচে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বর্ষন-জীবনের ৮ উইকেট শিকারে ১৫৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। সেমিফাইনালে উঠতে ৩৮ দশমিক ১ ওভারে ১৫৬ রান স্পর্শ করতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু ৩৫ দশমিক ৫ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সুপার সিক্সের গ্রুপ-১ থেকে ৪ ম্যাচে (গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচসহ) ৮ করে পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তান। ৪ ম্যাচে (গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচসহ) ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে থেকে সুপার সিক্স থেকে বিশ^কাপ মিশন শেষ করলো ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
বেনোনিতে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানের ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলার সুযোগই দেয়নি বর্ষন ও জীবন। তাদের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে এক পর্যায়ে  ৮৯ রানেই ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সাত নম্বরে নামা আরাফাত মিনহাসের ৩৪ ও আলি আসফান্দের ১৯ রানের উপর ভর করে ৪১তম ওভারে গুটিয়ে যাবার আগে ১৫৫ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। দলের পক্ষে মিনহাসই সর্বোচ্চ রান করেন।
বাংলাদেশের বর্ষন ৮ ওভারে ২৪ রানে এবং জীবন ১০ ওভারে ২৪ রানে ৪টি করে উইকেট নেন।
সেমিফাইনালে উঠতে হলে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৬ রানের টার্গেট ৩৮ দশমিক ১ ওভারে টপকাতে হবে এমন সমীকরন নিয়ে খেলতে নামে  বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঝড়ো শুরু করেছিলো বাংলাদেশের দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। ১৬ বলে ২৬ রান তুলেন তারা।
১২ বলে ১৯ রান করা জিশানকে শিকার করে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের পেসার উবায়েদ শাহ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ফিরিয়ে দেন  উবায়েদ ও আলি রাজা। এতে ২০তম ওভারে ৮৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সপ্তম উইকেটে ৬১ বলে ৪০ রান তুলে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। কিন্তু ৩০ থেকে ৩২ ওভারে টানা ৩ উইকেট পতনে হারের মুখে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। এসময় দুই সেট ব্যাটার জেমস ২৬, রাব্বি ১৩ ও ইমন শূণ্যতে ফিরেন। ১২৭ রানে নবম উইকেট পতনে হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে লড়াই করার চেষ্টা করেন বর্ষন ও মারুফ মৃধা। জুটিতে ২৩ রান তুলে দলের রান দেড়শও স্পর্শ করে ফেলেন তারা। কিন্তু ৩৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে মারুফ বোল্ড হলে ১৫০ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন বর্ষন। ৪৪ রানে ৫টি ও রাজা ৩টি উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন পাকিস্তানের উবায়েদ।

Side banner