Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ১৪, ২০২৫, ০১:২১ পিএম যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন টিকিট কাটা যাত্রীদের না নিয়েই চলে যায়। এমনকি নিয়মিত এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশনে থামেনি। ফলে কোনো যাত্রী নামতেও পারেননি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। 
এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রতিদিন নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামে। এখান থেকে কয়েক মিনিটের যাত্রাবিরতি দিয়ে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি চলে যায়। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাঙ্গলকোট স্টেশনে এসেও ট্রেনটি না থেমেই ছুটে যায় চট্টগ্রামের দিকে।। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্টেশনে অপেক্ষমাণ টিকিট কাটা যাত্রীরা ও ঢাকার দিক থেকে নাঙ্গলকোট স্টেশনের যাত্রীরা।
একপর্যায়ে স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে যাত্রীরা প্রতিবাদ জানান। পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীলকে।
স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল সাংবাদিকদের বলেন, লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টারকে বলেছিলাম ট্রেন চালানোর জন্য। তিনি ৮০২ চট্রলা এক্সপ্রেসের স্থলে ৭০২ সুবর্ণ এক্সপ্রেস মনে করে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোটে থামাননি। কেবিন মাস্টারের বলার ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, আমি ৮০২ চট্রলা ট্রেনের কাগজ লিখে দিয়েছি। ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখিনি। আমরা দুজন মাস্টার ভুল করতে পারি কিন্তু ট্রেনের ড্রাইভার ভুল করতে পারে না। সে তো স্টপেজ দিতে পারত। ট্রেনের গার্ড তো ভুল করতে পারে না, সেও ব্রেক করতে পারত।
কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টাকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Side banner