চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় একটি কারখানা ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুন এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। যদিও শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় সংস্থাটি। এরপর থেকে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করে যায়। সবশেষ সন্ধ্যা ৬টার দিকেও আগুন নির্বাপণে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ৮ তলা ভবনের ৭ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সন্ধ্যার দিকে পুরো ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলা আগুনে আশপাশের কয়েকশ মিটার পর্যন্ত আগুনের তাপ অনুভূত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি যোগ দেয়। কিন্তু আগুনের তীব্রতায় তারা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু তাতেও আগুন নেভেনি। আগুনে জ্বলতে জ্বলতে ভবনটির কোনো কোনো অংশ ধসে পড়ে। বর্তমানে অনেকটাই কঙ্কালসার হয়ে পড়েছে ভবনটি।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বলেন, আগুন নির্বাপণে আমাদের পাঁচটি ইউনিট এখনো কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, যে ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, সেটির অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না। সনদ পেতে আবেদন করা হয়েছে কেবল। তবে নিয়ম অনুযায়ী এখনো পরিদর্শন করা হয়নি। তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। এ ছাড়া ভবনের আশপাশে যে ন্যূনতম জায়গা রাখতে হয়, সেটি দুই দিকে ছিল না। অন্য দুই পাশ থেকে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ভবনটিতে অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান আছে। ভবনটির আটতলা খালি। সাততলায় অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদাম। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। অ্যাডামস ক্যাপে টাওয়েল ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল-এ সার্জিক্যাল গাউনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :