কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর গোরকমন্ডল আবাসন গামী সড়কে নির্মিত ১০ ফিট দৈর্ঘ্যের কালভাটটি বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। সেই সাথে পানির তোড়ে বিলীন হয়েছে প্রায় ১২০ মিটার সড়ক। চর গোরকমন্ডল আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী শতাধিক পরিবার সহ আশপাশের আরও দেড় শতাধিক পরিবারের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন আবাসনের বাসিন্দা সহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল এলাকার আবাসন গামী সড়কের প্রায় ১২০ মিটার জায়গা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে আবাসনের বাসিন্দা সহ এলাকাবাসী কলাগাছের ভেলা দিয়ে অতি কষ্টে পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয় আব্দুল গফুর, এইচ এস সি পরীক্ষার্থী লালচান মিয়া ও বাদশা মিয়া জানান, এই সড়কটি ছিল আবাসন ও আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ যাওয়া আসা, গ্রামবাসীর হাট- বাজার যাতায়ত, কৃষি পণ্য আনা নেয়া, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা সেবা সবকিছুই নির্ভর করতো এই রাস্তার উপর।
এই রাস্তার কালভাট দিয়ে আকষ্মিক ভাবে বন্যার পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে পানির তোড়ে কালভার্ট সহ রাস্তার বিরাট অংশ ভেঙে যায়। এখন আমরা কলাগাছের ভেলা দিয়ে কোন রকমে পারাপার হচ্ছি। এই জায়গায় একটি বড় সেতু নির্মাণ হলে আমাদের কষ্ট লাঘব হবে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, চর গোরকমন্ডল গ্রামের ওই জায়গায় একটি ছোট কালভার্ট ছিল। প্রতিবছর বন্যার সময় ধরলার পানি ঢুকে কালভার্টের দুইপাশ ভেঙে যেত। সেকারনে সেখানে একটি বড় সেতু নির্মাণের আবেদন করা হয়েছিল। সেতুর টেন্ডারও হয়েছে। কিন্তু তার আগেই বন্যায় কালভার্ট সহ অনেক দুর রাস্তা ভেঙে গেল। ফলে গ্রামবাসীর সাময়িক কষ্ট হচ্ছে। পানি নেমে গেলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :