বরিশালের বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের মাছুয়া খালি গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে দুই সন্তানের জনক রাশেদ মৃধা উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে পালিয়ে যায় রাশেদ। তার স্ত্রী, ১২ বছরের মেয়ে এবং দশ বছরের একটি ছেলে রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে সংসার করছেন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটির সাথে কথা হয়। দশম শ্রেণী পড়ুয়া সাথী (ছদ্মনাম) সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। তিনি জানান, আমি এর বিচার চাই, আমার জীবনটাকে রাশেদ শেষ করে দিয়েছে। আমার পরিবারের সম্মান শেষ করে দিয়েছে আমি সমাজে এখন মুখ দেখাতে পারি না। পুরো ঘটনা জানতে চাইলে সাথী বলেন, রাশেদ আমাদের আত্মীয় হয়। সেই সূত্রেই রাশেদের সাথে আমার এক বছর ধরে ফোনে কথা হতো দেখা হতো। আমার বাড়ির কাছেই মাছুয়া খালি আরশে দিয়া দাখিল মাদ্রাসা। আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি। সেখান থেকে বুধবার দুপুরে রাশেদ আমাকে নিয়ে পটুয়াখালী যায়। তারপর সেখান থেকে লঞ্চযোগে কেবিনে করে আমরা ঢাকা যাই। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। পারিবারিক ও এলাকার চাপে শুক্রবার আমাকে রাশেদ বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি মুখরোচক আলোচনা হয়ে দাঁড়ায়।
সাথির মা জানান, বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর তার মেয়ে বাড়িতে আসেনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি রাশেদ তাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। রাশেদ মৃধা মাছুয়াখালী গ্রামের মস্তফা মৃধার ছেলে। সাথী (ছদ্মনাম) এলাকার মনির শিকদারের মেয়ে।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য বিপ্লব হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি সত্য। আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি প্রথম থেকেই। শুনলাম শুক্রবার রাশেদ তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। অন্যায়ের সমর্থন করেন কিনা জানতে চাইলে ইউপি সদস্য বলেন, রাশেদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত। এলাকাবাসী ও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে রাশেদ একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত। এলাকাবাসীর দাবি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে সকল অপকর্ম থেকে একাবাসীকে যেন মুক্তি দেয়া হয়। রাশেদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে গেলে তিনি গোসল করার কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
সাথির পরিবার রাশেদের হুমকি ধামকি ও প্রভাব প্রতিপত্তিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে। পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আপনার মতামত লিখুন :