অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ৯ ম্যাচ পর জয়ে ফেরার পথটা সহজ ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজদের জয় নিশ্চিত হয় একেবারে শেষ বলে। ১ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান, চার হাঁকিয়ে সেই সমীকরণ মেলান জেসন হোল্ডার। লো স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানের পুঁজি ছিল মাত্র ১৩৩ রানের। যা উইন্ডিজরা ২ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ ম্যাচের টেস্ট এবং ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শতভাগ হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বিব্রতকর সময় আরও দীর্ঘায়িত হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে। আজ (রোববার) লডারহিলে হারলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত সালমান আলি আগাদের। তবে শেষ বলের জয়ে সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখল হোল্ডার-শাই হোপরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ বিপর্যস্ত ছিল পাকিস্তানের। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে মাত্র ২৪ রান তুলতেই তারা ৩ উইকেট হারায়। শুরুটা হয় দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সাইম আইয়ুবকে দিয়ে। আগের ম্যাচের নায়ক ও হাফসেঞ্চুরিয়ান আজ ফিরলেন মাত্র ৭ রান করে। অল্প সময়েল ব্যবধানেই ফিরেছেন শাহিবজাদা ফারহান (৩) ও মোহাম্মদ হারিস (৪)। কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেও ইনিংসটা লম্বা করতে পারলেন না ফখর জামান। ১৯ বলে করেন ২০ রান।
ম্যাচে পাকিস্তানের একমাত্র উল্লেখযোগ্য জুটিটি (৬০) গড়েন সালমান আগা ও হাসান নওয়াজ মিলে। ২৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন নওয়াজ। পাকিস্তান অধিনায়ক ৩৩ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটার। ক্যারিবীয়দের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হোল্ডার। এ ছাড়া গুদাকেশ মোতি নেন ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় মাত্র ৭ রানে আউট হয়েছেন উইন্ডিজ ওপেনার অলিক আথানাজে। টি-টোয়েন্টির বিপরীত মেজাজে ব্যাটিং করে এরপর ক্রমাগত আসা-যাওয়ার মিছিল করেছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় রান একশ হওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেট হারায়। শেষ ১৯ বলে তাদের ৩৬ রান প্রয়োজন ছিল। যা পেরিয়েছেন হোল্ডার-রোমারিও শেফার্ড মিলে। ২০ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন গুদাকেশ মোতি। এ ছাড়া হোল্ডার ১০ বলে ১৬ ও শেফার্ড ১১ বলে ১৫ রান করেন। এর আগে অধিনায়ক শাই হোপ ৩০ বলে করেন ২১ রান।
ক্যারিবীয়রা সমীকরণ মিলিয়েছে একেবারে শেষ বলে। ১ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪ রান, শাহিন আফ্রিদি ওয়াইড দিয়ে সেটিকে তিনে নামিয়ে আনেন। এরপর তার পায়ে দেওয়া বল থার্ড উইকেটে ঠেলে দিয়ে চার আদায় করেছেন হোল্ডার। মোহাম্মদ নওয়াজ ৩ এবং সাইম আইয়ুব ২ উইকেট শিকার করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :