মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাজেদ বাহিনীর প্রধান, মাগুরা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান খোন্দকার আব্দুল মাজেদের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
খোন্দকার আব্দুল মাজেদ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি নিজ নামে মাগুরা-ঝিনাইদহ আঞ্চলে একটি মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনী পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বহু সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। খোন্দকার আব্দুল মাজেদ স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজে অংশ গ্রহণ করেন এবং সন্তানসহ পরিবারের নিকট আত্মীয়দের তার বাহিনীতে যোগদান করায় এবং তারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদ খোন্দকার রাশেদ আলী (সন্তান), শহীদ সেলিম বিশ্বাস (মামাতো ভাই), শহীদ মুন্সি শহিদুল ইসলাম (জামাতা), কাজী আবু ইউসুফ (আপন ভাগ্নে), খোন্দকার ইবনে সউদ খোকন (আপন ভাগ্নে)।
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর মাগুরা ঝিনাইদাহের সীমান্তবর্তী এলাকায় কামান্না নামক গ্রামে মাজেদ বাহিনীর ২৭ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন। খোন্দকার আব্দুল মাজেদ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে আটক থাকা অবস্থায় তার বড় পুত্র খোন্দকার রাশেদ আলী ২৬ শে নভেম্বর ১৯৭১ মাগুরা ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ঐতিহাসিক কামান্না যুদ্ধে ২৭ জন সহযোদ্ধাসহ পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। এছাড়াও কামান্না যুদ্ধে শহীদ হয় খোন্দকার আবদুল মাজেদের মামাতো ভাই সেলিম বিশ্বাস ও জামাতা শহিদুল্লাহ ।
খোন্দকার আবদুল মাজেদ ছিলেন মাগুরা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় স্থাপনা গড়ে তোলেন।
মাগুরা রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে খোন্দকার আবদুল মাজেদ এর অসামান্য অবদান রয়েছে। মাগুরাবাসী তাঁকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :