Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নবীনগর কৃষি অফিসের সাফল্য


দৈনিক পরিবার | মোঃ শওকত আলী মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম নবীনগর কৃষি অফিসের সাফল্য

'কচুরিপানা দিয়ে জৈবসার উৎপাদন করে টেকসই কৃষি উন্নয়ন' শীর্ষক উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে চট্টগ্রামে বিভাগীয় পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী ইনোভেশন শোকেজিং প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে নবীনগর উপজেলা ইনোভেশন টিম।
রোববার দিনব্যাপী বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরষ্কার তুলে দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
হাওরের প্রাকৃতিক জলাশয়ে বেড়ে ওঠা কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে জৈবসার উৎপাদন করে, স্থানীয় ডিলার পর্যায়ে "জলকমল" নামে বিক্রয় করার ইনোভেটিভ থিংকিং ডেভেলপমেন্ট করা হয়। যা আগামীদিনে সম্প্রসারণ করা হলে বাড়বে দেশীয় মাছের উৎপাদন, পাশাপাশি কচুরিপানা দিয়ে  জৈবসার উৎপাদন আমাদের টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা নিশ্চিত করবে।
উপজেলা ইনোভেশন টিমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীমের নেতৃত্বে সদস্য হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: আবুল কাশেম সার্বক্ষণিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, কচুরিপানা দিয়ে জৈবসার উৎপাদন অত্যন্ত সহজলভ্য একটি প্রযুক্তি, কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ সহায়তা দেওয়া হলে দ্রুত এটি জনপ্রিয় হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে বিসিআইসি ডিলার পর্যায়ে জৈবসার কর্ণার স্থাপন করছি। কৃষক পর্যায়ে যেনো সহজলভ্য করা যায় সে বিষয়ে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিভাগীয় পর্যায়ে ১১ জেলার ৭৯টি ইনোভেশন কার্যক্রম উপস্থাপন হয়। নবীনগর উপজেলা থেকে যদি সঠিকভাবে কচুরিপানা কাজে লাগানো যায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার জৈবসার উৎপাদন করা সম্ভব। সেই সাথে বাড়বে কর্মসংস্থান এবং উন্নত হবে মাটির উর্বরতা শক্তি।

Side banner