বৃষ্টির অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরবরাহ নেই এমন অজুহাতে এক লাফে দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে কাঁচামরিচের দাম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুচরা পর্যায়ে এই মরিচ সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সবজির দামও। একাধিক সবজি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও উচ্চমূল্যে কিনতে পারছেন না ক্রেতা। সঙ্গে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০-৪০ টাকা।
শনিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০০-৩২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেলেও নয়াবাজারে এই মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। পাশাপাশি মালিবাগ কাঁচাবাজারে এই মরিচ সর্বোচ্চ প্রতিকেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, বৃষ্টিতে কৃষি খেত নষ্ট হয় এটা স্বাভাবিক। দামও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এক লাফে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা হবে এটা স্বাভাবিক নয়। এটা বিক্রেতাদের কারসাজি। যা তদারকি সংস্থাগুলোর নজর দিতে হবে।
এদিকে বৃষ্টিতে সরবরাহ কমার অজুহাতে সবজির দামও বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, কচুরলতি প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপশি প্রতিকেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০-১১০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, দুন্দুল ৮০-৮৫ টাকা, পটোল ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
এছাড়া প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, যা একদিন আগেও ১৮৫ টাকা ছিল। আর সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, যা একদিন আগেও ২৮০ টাকা ছিল। আর সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা। পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা, আর প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা।
পাশাপাশি প্রতিকেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :