সমু চৌধুরী ছোট ও বড় পর্দার একজন নন্দিত অভিনেতা। নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্রেও অভিনয় করে থাকেন তিনি। জন্ম ১৯৬৪ সালের ৮ জুন যশোরের আর এন রোডের পৈত্রিক বাড়িতে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন স্কুলে। ১৯৮০ সালে এখান থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। ১৯৮৪ সালে যশোর এমএম কলেজ থেকে বিএ পাস করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে এমএ পাস করেন।
ছোটবেলা থেকে তিনি নাট্যচর্চা করতেন। ১৯৮১ সালে যশোর উদীচী শিল্পীগোষ্ঠিতে যোগ দেন। দীর্ঘ ৮ বছর উদীচীর সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘সমৃদ্ধ অসীম’ এর মধ্য দিয়ে তিনি টিভি অভিনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।
এ নাটকের লেখক ছিলেন সাজ্জাদ নাজির এবং প্রযোজক ছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী। তাঁরা এ নাটকের নায়ক হিসেবে একজন নতুন মুখের খোঁজ করছিলেন।
অভিনেত্রি শমী কায়সারের সাথে সমু চৌধুরীর পূর্ব পরিচয় থাকায় শমী এই নাটকের নায়ক হিসাবে সমু চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। টেলিভিশন নাটকে তাঁর প্রথম অভিনয়েই তিনি সবার নজর কাড়েন। তারপর একের পর এক বহু নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।
তাঁর অভিনীত অন্যান্য নাটকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘না’, ‘সবুজের হলুদ ব্যাধি’, ‘জীনের বাদশা’, ‘পৃষ্ঠ’, ‘মা তুরাগ নদী’, ‘দূরের আকাশ’ প্রভৃতি।
নাটকের পাশাপাশি এ পর্যন্ত তিনি ১১টির অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’।
অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধু’ প্রভৃতি।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমা বহুলাংশেই এ জগতকে যে সমৃদ্ধ করেছে তা বললে মোটেও অতিশয়োক্তি হবেনা। এখনো তিনি সমানতালে অভিনয় করে চলেছেন এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সাথে।
আপনার মতামত লিখুন :