ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের ছয় সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশ খুজেস্তানে এই সাজা কার্যকর করা হয়। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মেহের নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্তরা একাধিক গুরুতর সহিংস কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল। তাদের অপরাধের তালিকায় রয়েছে চারজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা এবং খোররামশাহরে একটি বোমা হামলা চালানো। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে ইরান সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আইনপ্রণেতা সংস্থা গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মুখপাত্র হাদি তাহান নাজিফ ঘোষণা করেন, গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিল এবং বেসামরিক ড্রোন ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক খসড়া আইন এখন চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে আইনে পরিণত হয়েছে।
তাহান নাজিফ বলেন, পার্লামেন্টে পাস হওয়া সংশোধিত আইন দুটি শরিয়াহ নীতি বা সাংবিধানিক বিধানের সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয় বলে গার্ডিয়ান কাউন্সিল নিশ্চিত করেছে।
গার্ডিয়ান কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের চাপানো সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের সময়ই এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি আইন সংসদে পাস হয়েছিল। সব আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষে এখন এগুলোকে চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় এবং এতে ইরানের সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই ইরান ঘোষণা করে যে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে সন্দেহভাজনদের দ্রুত বিচার করবে; ফলস্বরূপ তখন থেকে দেশটিতে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :