জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আতাউর রহমান বিপুল হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি রাব্বি ইসলাম ওরফে বাপ্পিকে (২২) জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ শনিবার ভোরে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আসামি রাব্বি ইসলাম ওরফে বাপ্পি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের আতাউর রহমান (৫০) ওরফে বিপুল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আসাদুজ্জামান তালুকদার ওরফে আপেলের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ১৭ জানুয়ারি আপেল ও তার লোকজন আতাউর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত আতাউর রহমানের ছোট ভাই আলামিন (৪২) বাদী হয়ে প্রতিবেশী আসাদুজ্জামান আপেল তালুকদারকে প্রধান করে এজাহার নামীয় ১০ জনকে আসামি করে । অজ্ঞাত ও আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার এজাহার নামীয় তিন নম্বর আসামি গেন্দারপাড়া গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে রাব্বি ইসলাম ওরফে বাপ্পিকে জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ আজ শনিবার ভোরে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে হত্যা মামলার আসামি রাব্বিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার আসামি বাপ্পিকেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাপ্পী কে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাপ্পীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিপুল হত্যা মামলার আসামি বাপ্পীকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ দুপুরে আসামি বাপ্পিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :