চট্টগ্রামের বৃহত্তম উপজেলা ফটিকছড়িকে ভাগ করে দুটি আলাদা উপজেলা করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ফটিকছড়ি উপজেলার পাশাপাশি আরেকটি হবে উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক সুবিধা, উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ ও জনসেবার মানোন্নয়নের স্বার্থে এ দাবি স্থানীয়ভাবে উত্থাপিত হয়ে আসছিল। অবশেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।
নতুন উপজেলা সৃষ্টির মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ হবে এবং সেবাপ্রাপ্তি আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাঠামো গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলাকে বিভক্ত করে নতুন আরেকটি উপজেলা গঠনের প্রক্রিয়াটি নিঃসন্দেহে ফটিকছড়িবাসীর জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে। কারণ, উপজেলায় সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক বরাদ্দ বরাবরই আসে, বিভক্ত হলে তা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তবে এই বিভাজন কোনো ঐতিহাসিক বিচ্ছিন্নতার কারণে নয়, বরং উন্নয়ন ও জনসেবার সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন কোনো উপজেলা গঠনের পর সম্পূর্ণ কাঠামো ও অবকাঠামোগত কার্যক্রম শতভাগ কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগে। যেমন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় সবকিছু পরিপূর্ণভাবে কার্যক্রমে পৌঁছাতে কয়েক বছর সময় লেগেছিল। তবে জনগণের সেবাপ্রাপ্তি অনুমোদনের পরপরই শুরু হয়ে যায়।
‘সরকার যখনই অনুমোদন দেবে, সেদিন থেকেই নতুন উপজেলা কার্যকর হয়ে যাবে। প্রথমে নতুন একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখানে যোগ দেবেন এবং ধাপে ধাপে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রকৌশলীসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের পদগুলো পূরণ হবে। হয়তো অবকাঠামো গড়ে উঠতে সময় লাগবে, তবে সেবা কার্যক্রম অবিলম্বে চালু হয়ে যাবে’।
তিনি জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার আরও একটি বিশেষ বিষয় বিবেচনায় আসছে। সাধারণত নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে কোনো উপজেলাকে কর্মকর্তা শূন্য রাখা হয় না। তাই অনুমোদন হলে দ্রুতই প্রয়োজনীয় কর্মকর্তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এবং নতুন উপজেলা খুব দ্রুত ফাংশনাল হয়ে উঠবে। এই পরিবর্তন ফটিকছড়ির জনগণের জন্য উন্নয়ন ও সেবা নিশ্চিতকরণে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
বর্তমানে ফটিকছড়ি উপজেলায় ২টি থানা, ২টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ।
আপনার মতামত লিখুন :