Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

গাংনীতে ডিলারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ


দৈনিক পরিবার | মাহাবুল ইসলাম সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম গাংনীতে ডিলারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের সরকারি বিসিআইসি ডিলার এনামুল হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের না দিয়ে অতিরিক্ত দামে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, এনামুল হক প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ না করে প্রভাব খাটিয়ে বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে একদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে এলাকায় কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এনামুল হোসেন আওয়ামীলীগ সরকারের অনুগত হওয়ার কারণে প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় পাঁচটি সরকারি বিসিআইসি ডিলারের লাইসেন্স নিয়েছেন। ফলে সার সরবরাহের ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তিনি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।
ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য নুর ইসলাম বলেন, আমার এলাকার কৃষকরা সরকারি সার না পেয়ে অভিযোগ করলে আমি ডিলার এনামুল হোসেনের কাছে জানতে চাই। তখন তিনি আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং হুমকি দেন। তিনি আমাকে বলেন- আপনি কিসের নেতা? বিএনপির সিনিয়র নেতাদের আমার কথা বলুন, সবার সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার কাছের লোকদের সাথেও তার সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন। 
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাংনী উপজেলার কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, ডিলার এনামুল হোসেন সরকারি সার নিজের ইচ্ছেমতো বাইরে বিক্রি করছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। আমরা সরকারি কর্মকর্তা এজন্য মুখ খুলতে পারিনা।
এবিষয়ে ধানখোলা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড জুগিন্দা গ্রামের সাব-ডিলার মফিজুল মেম্বার জানান, আমাদের সাব ডিলারদের নামে যে বরাদ্দ থাকে তা আমরা সঠিকভাবে সরকারি দামে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করি। তবে বিসিআইসি ডিলারদের নামে যে বরাদ্দ আসে, তা কৃষকদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণ হয় না। তাদের বরাদ্দের অর্ধেক সার তারা কি করে তারাই ভালো বলতে পারবে। তবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত সার সঠিকভাবে কৃষকদের হাতে পৌঁছালে কোনো সংকট হতো না।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার এনামুল হোসেন বলেন, নুর ইসলাম আমাকে অতিরিক্ত সার দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দকৃত সার সাব-ডিলার ও কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। তবে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে কোন প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন নুর ইসলামের ফোনে প্রমাণ আছে।
এবিষয়ে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা শুনেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপসহকারী কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রকৃত কৃষকেরা সরকারি দামে সার পান।

Side banner