লালমনিরহাটে এবার ব্যাপক হারে দেশী জাতের করলা চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। একই সাথে তারা হাট-বাজারে সবজিটির কাঙ্খিত দামে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।
লালমনিরহাটে এবার উৎপাদিত দেশী জাতের করলা হাট-বাজারে উঠছে মাস খানেক আগে থেকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার জেলায় করলার বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় ও অর্থকরী হওয়ায় সবজিটি আবাদ করে জেলার বহু কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ফলে দিন দিন দেশী জাতের করলা চাষে বাড়ছে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যাও।
কোদালখাতা গ্রামের করলা চাষী মো. সোহেল রানা বলেন, ১ বিঘা জমিতে দেশি জাতের করলা চাষ করেছি। যা বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এবার বাজার দর মোটামুটি সন্তোষজনক।
একই গ্রামের করলা চাষী মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এবার আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে করলার বীজ রোপণ করেছি। এ বাজার দর যদি থাকে তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে করলা চাষ লাভজনক চাষাবাদ।
আরও বেশ কয়েকজন করলা চাষী বলেন, দেশী করলার রোগবালাই খুবই কম। কোনো কোনো সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছ শুকিয়ে যায় কিংবা পচন ধরে। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে রোগ বুঝে ঔষুধ প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।
গোশালা ও বড়বাড়ী বাজারের আড়তদারা বলেন, কৃষকেরা দেশী করলা নিয়ে এলে আমরা তা অন্য জেলার বেপারিদের কাছে বিক্রি করে দেই। এর প্রচুর চাষিদা। বর্তমানে দেশী করলা ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, লালমনিরহাট কৃষি প্রধান জেলা। এ জেলায় ধান ও ভূট্টার পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের সবজির চাষ হয়। বরাবরের মতো এবারও দেশী করলা চাষ করে জেলার কৃষকেরা ভালো লাভ করেছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দিন দিন জেলায় করলার চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :