গাইবান্ধার সাঘাটায় অপহরণের ১২দিনেও দশম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী সাহরিয়া আকতারকে উদ্ধার করতে পারেনি। থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করে নাবালিকা মেয়ে উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন মেয়েটির অসহায় মা শাহানাজ বেগম।
গত ১১ অক্টোবর সাঘাটা উপজেলার টেপাপদুমশহরের শাহানাজ বেগমের দ্বিতীয় কন্যা সাহরিয়া আকতার অপহরণ হয়। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দেন শাহানাজ বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, শাহানাজ বেগমের স্বামী সাহাদুল ইসলাম কুয়েত প্রবাসী। দুই মেয়ে ও এক শিশু পুত্র সন্তান নিয়ে তিনি কষ্টে জীবন যাপন করেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ১১ অক্টোবর প্রতিবেশী পল্লব কুমারের সহায়তায় তার মেয়ে সাহরিয়া আকতারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কিছু বখাটে যুবক। অপহৃত সাহরিয়া আকতার পদুমশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাতায়াতের পথে তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো বখাটেরা।
অপহরণের ঘটনায় পরেরদিন থানায় মামলা করতে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামলা নথিভুক্ত না করে ফেলে রাখেন। কয়েকদিন থানায় ঘোরাঘুরি পর পুলিশ সুপার মহোদয়কে অভিযোগ করার পর গত ২০ অক্টোবর ওসি মামলা নিয়ে অভিযুক্ত পল্লব কুমারকে গ্রেফতার করেন। কিন্তু তাকে রিমান্ডে না নিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শাহানাজ বেগম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত পল্লব কুমারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপহরণকারীদের শনাক্ত করা যাবে। তিনি অপহৃত নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে অপহৃত সাহরিয়া আকতারের দুলাইভাই মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।








































আপনার মতামত লিখুন :