খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকরাই দেশের প্রাণ। কৃষক বেঁচে থাকলে এ দেশে খাদ্যের অভাব হবে না।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। যার কারণে এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে কৃষক।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সঙ্গে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু। সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন। সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে। ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন।
মন্ত্রী বলেন, ধানের দাম কম বলে অভিযোগ ছিল। সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। মিনিকেট নামে ধান ও চালও নাই। নতুন আইনে বস্তার গায়ে দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষ পান্তার পানি খেয়ে পার করেছে। এখন খাদ্যরর অভাব নেই। প্রযুক্তি ও কৃষির সমন্বয়ের ফলে গত বছর এক কেজি চালও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়নি। এ বছরও হবে না বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবেদ হোসেন মিলন।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রায় ৩০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। স্টলগুলোতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১২৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :