নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বড়াল ঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে একজন। অন্য দুইজন ফেল করেছে। অথচ বিদ্যালয়টিতে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যা মোট ১৪ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পড়াশোনার গুণগত মানের এমন দুর্দশা সত্ত্বেও এই প্রতিষ্ঠানেই ২০২৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার পর থেকে শিক্ষার্থী সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমে গেছে। বর্তমানে খাতা-পত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০ জন হবে। তবে বেশিরভাগ দিন অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বিবাহিত হয়ে পড়ায় নিয়মিত পাঠদান থেকে তারা ছিটকে পড়েছে। এছাড়া স্কুলের ২ থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুল থাকায় শিক্ষার্থী কম বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, স্কুলের পড়াশোনার মান ভালো না হওয়ায় স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। কাগজে-কলমে বর্তমানে যে ১০০ শিক্ষার্থী থাকার কথা বলা হচ্ছে সেটিও সঠিক নয়। এছাড়াও ১০ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তিনজন শিক্ষার্থী পাস করতে না পারায় তারা হতাশা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গণেশ চন্দ্র সূত্রধর বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ৭ জন, বাকি ৩ জন শিক্ষক এখনো বেতন পান না। তাই তারা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। এ বছর আমাদের তিনজন পরীক্ষার্থী ছিল, দুইজন পাস করতে পারেনি। কারণ বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারেনি। আগামী বছর পরীক্ষার্থী বেশি আছে, আশা করি সবাই পাস করবে।
এ বিষয়ে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার সুভাষ কুমার মন্ডল জানান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ডেকে এমন ফলাফলের কারণ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেন ভবিষ্যতে এ রকম ফলাফল না হয়।
আপনার মতামত লিখুন :