Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জয় দিয়ে শুরু ঢাকার


দৈনিক পরিবার | পরিবার ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৯:২৪ পিএম জয় দিয়ে শুরু ঢাকার

দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনা টাইগার্সকে অল্পতেই আটকে দেয় ঢাকা ডমিনেটর্স। এই রান তাড়াতেও বেশ বেগ পেতে হয় ঢাকাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি। অধিনায়ক নাসির হোসেনের দৃঢ়তায় জয়ের স্বস্তি নিয়ে নিজেদের বিপিএল মিশন শুরু করেছে ঢাকা ডমিনেটর্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। দলের জয়ের ম্যাচে বল হাতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন নাসির। ব্যাটে-বলে ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরাও হয়েছেন নাসির।    
কুয়াশাভেজা দুপুরে কন্ডিশন কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় ঢাকা ডমিনেটর্স। নিজেদের লক্ষ্যে সফল ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। আগে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি ঢাকা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলতে পেরেছে খুলনার টাইগার্স। এই ছোট রানের জবাবে দারুণ শুরুর আভাস দেয় ঢাকা। কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে বড় ধাক্কা খায় দলটি। পল ভান ম্যাকরানের করা বলে আঘাত পান ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। দলীয় ১৬ রানে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। 
এই ধাক্কা সামলে হাল ধরার চেষ্টা করেন দিলশান ও সৌম্য সরকার। অষ্টম ওভারে সেই চেষ্টা বৃথা করে দেন ওহাব রিয়াজ। সৌম্যকে (১৬) নিজের শিকার বানিয়ে করেন মাঠছাড়া। এরপর এলবির ফাঁদে ফেলে ঢাকার ওপেনারকে দিলশানকে (২২) বিদায় করেন সাইফউদ্দিন। বোল্ড হয়ে ৮ রানে বিদায় নেন মিঠুন।
৬৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর কিছুটা পথ হারায় ঢাকায়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি। নাসির হোসেন ও উসমান ঘানি মিলে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। এই জুটিতেই মূলত পথ দেখে ঢাকা। শেষ ওভারে এসে জয় তুলে নেয় ঢাকা। 
এর আগে ফিল্ডিংয়ে নামা ঢাকার হয়ে বল হাতে ইনিংসের শুরু দারুণ করেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান। এরপর চতুর্থ ওভারে এসে সাফল্য তুলে নেন নাসির হোসেন। প্রথমবার ঢাকার নেতৃত্ব পাওয়া নাসির ফিরিয়ে দেন খুলনার ওপেনার সারজিল খানকে। ৭ রান করা সারজিলকে বোল্ড করে মাঠছাড়া করেন নাসির। ১১ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।
এরপর ওয়ানডাউনে নামা মুনিম শাহরিয়ারকে টিকতে দেননি আলামিন। ডানহাতি পেসারের ডেলিভারি মোকাবিলায় উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুনিম (৪)। দ্রুত দুই উইকেট হারানো ধাক্কা আজম খানকে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু টিকতে পারলেন না। আরাফাত সানির স্পিনে কাটা পড়ে বিদায় নেন তিনি। ১৫ বলে মাত্র ৮ রান নিয়ে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। দলীয় ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় খুলনা। 
যে বিপদ কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েও ঢাকার হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক ইয়াসির। তিনি ২৪ রানে সাজঘরে ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ১১৩ রান করতে পারে খুলনা। মাঝে আজম খান করেন ১২ বলে ১৮ রান। শেষ দিকে সাব্বির রহমান করেন ১১ বলে ১১ রান।  
বল হাতে ঢাকার হয়ে ১৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ২৯ রানের বিনিময়ে নাসিরের শিকার দুটি। আলামিন ৪টি নিতে দেন ২৮ রান। আরাফাত সানির শিকারও দুটি।
 

Side banner