ঘরের মাঠে যেকোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশ সবসময় ফেভারিটের কাতারে থাকে। নিজেদের মাটিতে তুলনামূলক নিয়মিত পারফর্মও করেন ক্রিকেটাররা। যদিও সবশেষ কয়েকটি ওয়ানডে সিরিজ ব্যাটারদের অধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দল নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল। সেই দুর্দশা কাটানো এবং র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানে হারাল মেহেদী মিরাজের দল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের উইকেটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না বলে জানিয়েছেন সফরকারী অধিনায়ক শাই হোপ, ‘স্পিনারদের জন্য সাহায্য ছিল উইকেটে। রিশাদ দারুণ লাইন এবং লেংথে বল করেছে। ফলে তাকে খেলাটা কঠিন ছিল আমাদের জন্য। ব্যাটাররা এমন স্পিন উইকেটে সংগ্রাম করেছে। তবুও দুই ওপেনার দারুণ শুরু এনে দেয়। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল। সহজ ছিল স্পিনারদের জন্য।’
কন্ডিশন অনুযায়ী মানিয়ে নিয়ে ভুল শোধরাতে চান এই ক্যারিবীয় তারকা, ‘আমি শুধু বলব চ্যালেঞ্জিং ছিল। ব্যাটার হিসেবে কাজটা সহজ নয়। অবশ্যই তাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। ভালোভাবে কন্ডিশন কাজে লাগিয়েছে। ব্যাটাররা নিজেদের কাজ করেছে। তাদের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে, তারা কাজটা করতে পারবে। তবে কিছু জায়গায় ভিন্ন কিছু করা দরকার। শুরুটা যেভাবে ভালো করলাম এরপর আমরা খেই হারিয়েছি, এমনটা চাইনি। চেয়েছিলাম শুরুর ভালোটা ধরে রাখতে। চেষ্টা করব দ্বিতীয় ম্যাচে যেন এমন ভুল না হয় এবং সিরিজে ফিরতে পারি।’
টানা ম্যাচ খেলা এবং ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে হোপের অভিমত, ‘সবজায়গাতেই চ্যালেঞ্জ আছে। ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলা আমার জন্য কঠিন। অনেকে ক্যারিবিয়ান থেকে এসে এখানে খেলছে। ফলে রিকভারির ব্যাপার থাকে। খারি (পিয়েরে) দারুণ ধারাবাহিক ছিল। হয়তো ফাইফার পায়নি, তবে বেশ ভালো করেছে। সে সিপিএলেও উজ্জ্বল ছিল। আশা করি ওয়ানডে ফরম্যাটে আমরা দ্রুতই ফিরে আসতে পারব।’
উভয় দলকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার ছিল বলে মনে করেন হোপ। একইসঙ্গে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় উইন্ডিজ দলনেতার কণ্ঠে, ‘সারফেস চ্যালেঞ্জিং ছিল। ব্যাট করাটা দুই দলের জন্যই কঠিন ছিল। মাঝে তো আর পিচ পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশি স্পিনাররা লাইন-লেংথে দারুণ ধারাবাহিক ছিল। ফলে আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে গেছে। আমাদের পরের ম্যাচে আরও নিখুঁত হয়ে এসে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :