Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি


দৈনিক পরিবার | ইকবাল চৌধুরী এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম টেকনাফ সীমান্তের ওপারে রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে। এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে স্থানীয়দের।
সীমান্তের বাসিন্দাদের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং পাড়া, খারাংখালী এবং হ্নীলার মোলভী বাজার, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাকপুরা এ গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল ও গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। রাখাইনের চলমান যুদ্ধে এপারে অনেক শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রতিদিন এ ধরনের গোলার আওয়াজ এখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ বাড়তে শুরু করে। ৫ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক নারীসহ দুজন নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ সে দেশের ৩৩০ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

Side banner