দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ রবিবার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
অন্য যাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা আজ সাতটি পৃথক আবেদন করে এই সাতজনের আয়কর নথি জব্দে আদালতের নির্দেশ চান।
দুদকের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার জাহান রুমি আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে প্রত্যেকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার অবৈধ সম্পদ, তাঁর স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।
এ ছাড়া শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শুরু থেকে শেষ করবর্ষের আয়কর নথি পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নথি জব্দ করা প্রয়োজন। আয়কর আইন অনুযায়ী নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশনা দরকার।








































আপনার মতামত লিখুন :