শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘুরে আসুন

শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। লাল, সাদা, নীলসহ বিভিন্ন ধরনের শাপলা রয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি সবজি হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিল ও কৃষি জমিতে শুধুমাত্র সাদা শাপলা চোখে পড়ে। সম্প্রতি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য উপজেলার শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুকুরে লাল শাপলা ফুল চাষ করা হয়েছে। সারা পুকুর শাপলায় সয়লাব। এ যেন শাপলা ফুলের লাল গালিচা! প্রথম দেখায় মুখ থেকে অস্ফুটে বেরিয়ে আসবে সুন্দর, অপরুপ! অজান্তেই মনের গহীনে বেজে ওঠে, তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল, নাকি তোমার মন...।
শীতে মৌসুমেও শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর অ্যান্ড কলেজের পুকুর সেজেছে লাল শাপলায়। এর সাথে সাদা বকের আনাগোনা পুকুরের সৌন্দর্যে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। এ যেন প্রকৃতির অপরুপ কারুকাজ। সূর্যের আলোটা কড়া হওয়ার সাথে সাথে শাপলা তার আপন সৌন্দর্যকে গুটিয়ে নেয়। তবে সূর্যোদয় থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাল শাপলার সৌন্দর্য দৃশ্যমান থাকে।
লাল শাপলার পুকুর দেখতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। নান্দনিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হন দর্শনার্থীরা। অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছবি তোলায়, কেউবা আবার শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুকুরের উত্তর পাশের এমফিথিয়েটারে বসে পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠেন।
জানা যায়, ৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিংবডির সভাপতি, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সম্মানিত সদস্য মো. খলিলুর রহমান গোপালগঞ্জ থেকে এ শাপলার বীজ নিয়ে এসে পুকুর রোপণ করেন। তারপর থেকে নবীনগরের একমাত্র লাল শাপলার পুকুর নামে হিসেবে এটি সুপরিচিতি পায়। তাছাড়া পুকুরটির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি গাছ ও ফুলের বাগান এবং বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য এমফিথিয়েটার এর সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। লোকজন গাছের নিবিড় ছায়ায় দাঁড়িয়ে লাল শাপলার অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা রাকিব রায়হান বলেন, লাল শাপলার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য আমি সুযোগ পেলেই এখানে আসি। সকাল ১০টা পর্যন্ত শাপলাগুলো পূর্ণ ফুটন্ত অবস্থায় থাকে। আর তখন শাপলার পাশাপাশি সাদা বকের আনাগোনা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।   
শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ  মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার লোকজন শাপলা ফুল দেখার জন্য এখানে আসেন। পুকুরটিতে লাল শাপলার পাশাপাশি সভাপতি মহোদয় পদ্মফুলের চারাও রোপণ করেছেন। পদ্মফুল রোপণ করে আমরা সফলও হয়েছি। দর্শনার্থীরা পুকুরে শাপলার পাশাপাশি পদ্মফুল দেখতে পারছে।