Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জীবনের কাছে হার মেনেছে রবিরনের আনন্দ উল্লাস


দৈনিক পরিবার | মিজানুর রহমান এপ্রিল ৫, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম জীবনের কাছে হার মেনেছে রবিরনের আনন্দ উল্লাস

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে হাসি খুশি উল্লাস। অথচ সকল কিছুই যেন হার মেনেছে শেরপুরের বৃদ্ধা রবিরনের (৭০) কাছে। যে সময়ে ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় ঈদের  আনন্দের আগাম জানান দিচ্ছিলো, সেই মূহুর্তেই অনাহারে থেকে জীবন বাঁচার তাগিদে এক মুঠো ভাতের আশায় রাস্তায় শুয়ে সাহায্যের জন্য আকুতি মিনতি করছিলো অসুস্থ্য বয়োবৃদ্ধা রবিরন বেগম (৭০)।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ৬ নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, চকপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসীন্দা কমল উদ্দীন স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন।
সাম্প্রতিকালে একমাত্র মেয়েটিও মৃত্যুবরণ করে। এতে পুরো সংসারের আর কেউ থাকলো না। ফলে একাই অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছেন রবিরন। মেয়ের ঘরের একমাত্র ছেলে সন্তান মো. কাকন মিয়া (৩০) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসের কর্মী হিসেবে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকাতেই বসবাস করতো।
নানীর রবিরন বেগমের এমন পরিস্থিতির খবর শুনে এলাকায় আসেন। দেখেন প্যারালাইসিস্ রোগে আক্রান্ত হয়ে না খেয়ে ঘরে একাই পড়ে আছেন। কিন্তু একমাত্র নাতি কাকন মিয়া কোনো উপায় না দেখে একটি ভাড়ায় চালিত রিক্সা নিয়ে তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও নানীকে নিয়ে ভাংগাচোরা একটি ঘরের মধ্য গাদাগাদি করে অতি কষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে বসবাস করে আসছিলো। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে নানীর সুচিকিৎসা করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত নানীকে বাঁচানোর জন্য গত ৩ মার্চ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানীকে রাস্তায় শুয়ে রেখে সাহায্যের হাত বাড়ান তার একমাত্র নাতি কাকন মিয়া। অনেকেই ৫-১০ টাকা করে দিলেও ওই সময়ে ওই ইউনিয়নের কোন ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি কিংবা জনপ্রতিনিধির সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, মানবিক কারণে মৃত্যুর সন্নিকটে। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা দরকার মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন রেখে একটি বিকাশ নম্বর দেন তিনি। যার নম্বর ০১৯৯৬৫৮৯৯৮২। তিনি সকলের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

Side banner