বাংলা বর্ষ বরণে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এবারও কবিতায় গানে নতুন বছরকে বরণ করবে ছায়ানট। রমনার মঞ্চে ওঠার আগে শুক্রবার হয়ে গেলো চূড়ান্ত মহড়া। প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমের জাগরণী সুরের মূর্ছনায় নতুন বছরের প্রথম সকাল রাঙাতে প্রস্তুত ছায়ানট। মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ক্রমেই যেন কমছে। ক্ষয়ে চলেছে মূল্যবোধ ও মানবতা। মানুষে-মানুষে এমন দূরত্ব সমাজে তৈরি করেছে নতুন এক সংকট। বাংলা নতুন বছরে সেই সংকট উত্তরণে মানবতার জয়গান গাইবে ছায়ানট।
নববর্ষের প্রথম প্রভাতে রমনা বটমূলে ছায়নটের বর্ষবরণের পুরো আয়োজন থেকে প্রত্যাশা- হাতে হাত রেখে, সবার সাথে মিলবার, চলবার, গাইবার সাধনাই মানুষকে আবার ফিরিয়ে আনবে মানুষের কাছে, মানবতার কাছে। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা আমরা লক্ষ্য করি না। তাই আমরা ভাবছি সেই কথাগুলো নিয়ে আমরা যদি আমাদের অনুষ্ঠান সাজাই, তাতে করে আমরা যদি কোনোভাবে এই সমাজের একটি পরিবর্তন করতে পারি তাহলেই আমরা সফল হবো।
শুক্রবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মহড়ায় অংশ নেন শিল্পীরা। নববর্ষে ভোরের আলো ফুটতেই ভৈরবীতে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে। তারপরই থাকছে প্রকৃতি, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের গান ও কবিতা। ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এবার শতাধিক শিল্পী অংশ নেবেন। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলেছে মহড়া।
খায়রুল আনাম শাকিল আরও বলেন, আমরা নতুন বছরকে বরণ করছি সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। কিন্তু এই গানগুলোর মধ্যে আমদের নিজেস্ব একটা বক্তব্য আছে, সেই বক্তব্যটা এই যে, এই দিনে আমরা সকল সম্প্রদায়ের বাঙালিরা এক সাথে এক হয়ে পৃথিবীকে জানিয়ে দেবো আমরা বাঙালি হিসেবে গর্ব করি। এদিকে, বর্ষবরণের আরেক আয়োজন চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এবারের শোভাযাত্রায় ভেসে উঠবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
আপনার মতামত লিখুন :