বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরমান আর চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়। তার অপসারণের বিষয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্তে অনাপত্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে অপসারণের অনাপত্তি দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, এমডিকে অপসারণে আল-আরাফাহ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে অনাপত্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আর তার এমডি থাকার কোনো সুযোগ নেই।
ফরমান আর চৌধুরীর বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন, নিয়োগ ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন অনিয়মে সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৩ এপ্রিল ব্যাংক তাকে প্রথমে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
এমডিকে অপসারণের কারণ হিসেবে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন, নিরাপত্তা সঞ্চিতি না রেখে মুনাফা দেখানো, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম, সিএসআর তহবিলের অপব্যবহার, বেতনের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ফেরত না দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘদিন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুস সামাদ লাবু। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি খাজা শাহরিয়ারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক পরিচালনা করতে গিয়ে নানা অসঙ্গতি পায়।
ওই সময় ফরমান আর চৌধুরী ছাড়াও ব্যাংকটির সিএফও মোহাম্মদ নাদিম, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া ও ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মো. আব্দুল মবিনকে ছুটিতে পাঠানো হয়। তবে অন্য তিনজন এখনও ছুটিতে আছেন বলে জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। সরকার পরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত ১৫টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের অনিয়ম জালিয়াতি তদন্তে বিশেষ অডিট করছে।








































আপনার মতামত লিখুন :