Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
মেহেরপুরের ৩ শতাধিক যুবক

মালয়েশিয়া গিয়ে দালালের প্রতারণার শিকার


দৈনিক পরিবার | মাহাবুল ইসলাম ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম মালয়েশিয়া গিয়ে দালালের প্রতারণার শিকার

পরিবারের হাল ধরতে ভালো বেতনের আশ্বাস পেয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন মেহেরপুরের ৩ শতাধিক যুবক। দালালের খপ্পরে পড়ে ৩-৬ মাস কাজ না পেয়ে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। জানা গেছে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৩ শতাধিক যুবক সহায় সম্বল বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় ভাল কাজ-কর্ম পাওয়ার আশায় দালালের হাতে জনপ্রতি তুলে দিয়েছিলেন ৫-৭ লাখ টাকা। ৩-৬ মাস আগে মালয়েশিয়ায় গেলেও আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) না পাওয়ায় কর্মহীনভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দালাল চক্রটি অন্য জায়গায় বিক্রি করায় কাজ না পেয়ে তারা খাবার সংকটে ভুগছেন। অন্যদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এনজিওর লোকেরা বাড়িতে এসে ভূক্তভোগীদের পরিবারদের চাপ দিয়ে আসছে। এছাড়াও প্রবাসে জিম্মিকারীরা এসব ভূক্তভোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ভূক্তভোগীদের আর্তনাদের এই সকল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মালয়েশিয়ায় জিম্মাকারীদের কাছে আটকে থাকা কয়েকজন ভিডিওর মাধ্যমে জানান, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কেএনএফএইচ বালিকা বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান আব্দুল মাজেদ, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ন্যাড়া, কাজীপুর এলাকার মুসা কলিম, সুরুজ ও বালিয়াঘাট গ্রামের আনিসুল হক মাস্টারের ছেলে শোভন এর মাধ্যমে ঢাকায় নাভিরা ও মুসা কলিম এন্টারপ্রাইজ নামের এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভালো কাজের স্বপ্ন দেখে মালয়েশিয়ায় এসেছিলাম। গেল ৩-৬ মাসেও দালাল চক্রের সদস্যরা কোন কাজ দিতে পারেনি। ভাল কাজের আশ্বাসে প্রতিনিয়ত দালাল চক্রের পক্ষ থেকে সামান্য খাবার ও পানি দেয়া হচ্ছে। যা যথেষ্ঠ নয়। প্রতিবাদ করতে গেলে, প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কেউ রেখেছেন জমি বন্ধক, কেউ সুদের উপরে টাকা নিয়ে, কেউ বা নিয়েছেন এনজিও থেকে ঋণ। এখন যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তারা বাড়ির উপর এসে টাকা নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের চাপ সৃষ্টি করছে। এদিকে, দালাল চক্রের সাথে জড়িতদের বাড়িতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, ভূক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পায়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দোষী প্রমাণিত হলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার নাজমুল হক (পিপিএম) সাংবাদিকদের জানান, আমরা প্রাইমারি ইনভেস্টিগেশন শুরু করেছি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Side banner