Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফের বিতর্কে মিস ইউনিভার্স, উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন


দৈনিক পরিবার | বিনোদন ডেস্ক নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম ফের বিতর্কে মিস ইউনিভার্স, উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ভোটের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিলিপাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশের সাধারণ দর্শকরা। আয়োজকদের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিযোগিতার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। 
নিয়ম অনুযায়ী গত বুধবার রাতেই দর্শকদের ভোট দেওয়ার সুযোগ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং মিস ইউনিভার্স অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী, হঠাৎ করেই ‘পিপলস চয়েস’ রাউন্ডের ভোটের সময় বাড়ানো হয়েছে।
নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ‘পিপলস চয়েস এক্সটেন্ড’ অপশনে গিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগে যেমন- ‘ন্যাশনাল কস্টিউম’ এবং ‘ইভিনিং গাউন’ এই দুটি বিভাগে আগামী ২১ তারিখ রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ ভোটের সময় বেশি পেয়ে পছন্দের প্রতিযোগীকে যেমন এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেখছেন, আবার এগিয়ে থাকা প্রতিযোগীরা শঙ্কায় কাটাচ্ছেন। ফলে তৈরি হয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া; আয়োজকদের নিরপেক্ষতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। 
এক নেটিজেন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, মিস প্যারাগুয়ে একজন বিচারকের বান্ধবী হওয়ায় এমন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ জাগছে। বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মানুষ যেখানে কষ্ট করে ভোট জোগাড় করছে, সেখানে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে ভোট কেনা এবং সময় বাড়িয়ে দেওয়া সাধারণ প্রতিযোগীদের প্রতি অবিচার।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি প্রকাশ করেনি মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। এবারের আসরে ভোটে খানিকটা পিছিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিযোগী তানজিয়া জামান মিথিলা। সে দিক থেকে মিথিলাকে ভোটে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগও পেল বাংলাদেশ।
এদিকে, সম্প্রতি প্রতিযোগীদের নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ তুলে মূল বিচারক প্যানেল থেকে দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করা একজন দাবি করেন, ওই অস্থায়ী জুরিতে এমন কয়েকজন আছেন, যাদের কিছু প্রতিযোগীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরির আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরই মধ্যে নতুন করে ভোটিং টাইম এক্সটেনশন নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হলো।

Side banner