খুলনার পাইকগাছায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে তৌহিদী জনতা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সরকার কে ৭২ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয় ওলামা মশায়েখ সহ বিক্ষুদ্ধ জনতা।
নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে ঈমান বিধ্বংসী আঘাত এনেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে ভাস্কর্যের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে। এদেশে আর কোন দিন ভাস্কর্য রাজনীতির ঠাই হবে না।
বক্তারা নির্মাণাধীন ভাস্কর্য অপসারণ করার জন্য ৭২ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়ে বক্তারা বলেন তখন এর দায় দায়িত্ব সরকার নিতে হবে।
পাইকগাছা কয়রা তৌহিদী জনতা আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুল আজিজ। বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর রব, মুফতি ওয়াইস কুরনী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা শামসুদ্দিন, মাওলানা রইসুল ইসলাম, মাওলানা সাঈদুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ, আতাউল গণি, ইলিয়াস আমিন ও ফরহাদ হুসাইন সহ বিভিন্ন ওলামা মশায়েখ গণ।
উল্লেখ্য পাইকগাছাস্থ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভিতরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হিসেবে একটি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এটা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যৌথভাবে আলোচনা করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে নির্মাণাধীন ভাস্কর্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখে।
আপনার মতামত লিখুন :